তারিখ: ১৯ জুন ২০২৫
রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫। আজ(১৯ জুন ২০২৫) বৃহস্পতিবার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। মেলা চলবে আগামী ২১ জুন শনিবার পর্যন্ত।
জাতীয় ফল মেলায় এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই”। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ ফল মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারছেন। সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টি মিলিয়ে মোট ৭৫টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। রাজধানীসহ সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় এ ফল মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মেলার উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন শেষে কৃষি উপদেষ্টা বলেন,
‘‘মানুষকে পর্যাপ্ত পুষ্টি জাতীয় খাবার দিতে সরকার কাজ করছে। বর্তমানে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম খেতে পারছে। এটিকে ২০০ গ্রামে উন্নীত করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জন্য ২০০ গ্রাম ফল নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেজন্য পুষ্টি জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব ঘটিয়েছি তেমন ফলের উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। দেশি ফল বিলুপ্ত হবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশি ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে।’’
এরপর কেআইবি (কৃষিবিদি ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ) মিলনায়তনে জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশি ফল: বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে যোগ দেন মাননীয় উপদেষ্টা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আজিজুর রহমান এবং কী-নোট পেপারের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এবং খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগ এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে কৃষি সচিব বলেন, দেশীয় ফলকে পরিচিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলায় দেখা মিলবে বিলুপ্তপ্রায়, অপ্রচলিত, নতুন ও সম্ভাবনাময় বিভিন্ন ফলের।
‘‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে আগামী ২১ জুন শনিবার। মেলায় আগত দর্শণার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতেও পারছেন।