Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

উত্তরাঞ্চলে অর্থকরী ফসল কফি চাষের প্রেক্ষিত ও সম্ভাবনা

 উত্তরাঞ্চলে অর্থকরী ফসল কফি চাষের প্রেক্ষিত ও সম্ভাবনা

কৃষিবিদ ড. মুহ: রেজাউল ইসলাম১ কৃষিবিদ মো: রাসেল সরকার২

কফি এক ধরনের বেরী (ইবৎৎু) জাতীয় ফল যার বীজ থেকে  তৈরি হয় পানীয় কফি। সারাবিশে^ প্রচলিত উষ্ণ পানীয়ের মধ্যে চা এবং কফির জনপ্রিয়তাই সর্বাধিক। চায়ের জনপ্রিয়তা দক্ষিণ এশিয়াসহ গোটা প্রাচ্যে সর্বাধিক কিন্তু কফির জনপ্রিয়তা ও চাহিদা আমেরিকা, ইউরোপ গোটা আরববিশ^সহ প্রায় সমগ্র বিশে^। ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ভভবব ঙৎমধহরুধঃরড়হ এর তথ্যমতে, সারাবিশে^ ১০.৪০ মিলিয়ন টন কফি উৎপাদন হয় এবং মোট উৎপাদিত কফির ৩৫% ব্রাজিলে উৎপন্ন হয়ে থাকে। পেট্রোলিয়ামের পরপরই বিশে^ সবচেয়ে বেশি বিক্রীত পণ্য হচ্ছে কফি। বর্তমানে       সমগ্রবিশে^ দৈনিক ২২৫ কোটি কাপ কফি পান করা হয় এবং প্রতি বছর ৫.৫% হারে কফির আন্তর্জাতিক বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক কফি অর্গানাইজেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ১ অক্টোবর বিশ^ব্যাপী কফি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে মান্না দে’র গাওয়া “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই”- গানটি এপার-ওপার দুই বাংলায় পানীয় হিসেবে কফিকে সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় করে তোলে। বিগত এক দশকে বাংলাদেশে কফির চাহিদা অনেক বেড়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৮৫৫ টন কফি আমদানি করা হয় । বর্তমানে দেশে বার্ষিক কফির চাহিদা প্রতি বছর প্রায় ১০-১২% হারে বাড়ছে। কফি বর্তমানে আমাদের শহুরে কালচারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
উদ্ভিদতাত্তি¡ক পরিচিতি
কফি জঁনরধপবধব পরিবারভুক্ত একটি চিরহরিৎ, গুল্মজাতীয় ও বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। ঈড়ভভবব গণের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে যার মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে প্রধানত দুটি প্রজাতির চাষাবাদ করা হয়। একটি ঈড়ভভবধ পধহবঢ়যড়ৎধ যা রোবাস্টা নামে পরিচিত, অন্যটি ঈড়ভভবধ অৎধনরপধ যা অ্যারাবিকা কফি নামে পরিচিত। দুটো প্রধান প্রজাতিরই উৎপত্তিস্থল আফ্রিকা। এ ছাড়াও আমাদের উপমহাদেশে কফির একপ্রকার প্রজাতি আছে যা “বাংলা কফি” (ঈড়ভভবধ নবহমধষবহংরং) নামে পরিচিত। ভারতের আসাম, হিমালয়, উত্তরাখÐ,     উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার প্রভৃতি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তার ধারে কিংবা বনে-জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়।
গাঢ় সবুজ রঙের ডিম্বাকৃতি পত্রবিশিষ্ট কফি গাছে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা রঙের মৃদু সুগন্ধি ফুল ফুটে যা কয়েক দিনের মধ্যেই ফলে পরিণত হয় এবং সবুজ ফলগুলো পাকলে শুরুতে হলুদাভ ও পরে গাঢ় লাল বর্ণ ধারণ করে। সাধারণত অ্যারাবিকা জাতের কফি ফল পাকতে ৬-৮ মাস সময় লাগে, অপর দিকে রোবাস্টা জাতের কফি ৯-১১ মাস পর্যন্ত সময় নেয়। গাছ লম্বায় প্রায়   ২৫-৩০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতাবিশিষ্ট হতে পারে। ফল সংগ্রের     সুবিধার্থে কফি গাছের ডালপালা ছাঁটাই করে সর্বোচ্চ ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু রাখা হয়। একটি কফি গাছ থেকে প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে ফল পাওয়া যায়। কফি গাছের বংশবিস্তার মূলত বীজ দিয়েই হয়ে থাকে। চারা রোপণের প্রায় ২ বছরের মধ্যেই কফির ফল সংগ্রহ করা যায়।
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
কফির মূল উপাদান ক্যাফেইন ছাড়াও ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫,         পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এবং সামান্য প্রোটিন থাকে। অ্যারাবিকার তুলনায় রোবাস্টা কফিতে ৪০-৫০% বেশি ক্যাফেইন বিদ্যমান থাকে যার ফলে এতে তিক্ততার পরিমাণ বেশি এবং তুলনামূলক কম সুগন্ধযুক্ত। অ্যারাবিকায় ক্যাফেইনের মাত্রা অল্প থাকায় এর তিক্ততা কম কিন্তু সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত এবং স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় ফলে এর   জনপ্রিয়তা অধিক। বর্তমানে সারাবিশে^ প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশে কফির চাষ হচ্ছে যার দুই-তৃতীয়াংশই অ্যারাবিকা জাতের কফি। নিয়মিত এবং পরিমিত পরিমাণে কফি পান হৃৎপিÐের গতি বাড়ায় ফলে শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি হয়। কফি ডায়াবেটিসসহ কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া, আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কফিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীর থেকে নানা ধরনের ক্ষতিকর টক্সিক পদার্থ বের করে লিভারকে সুরক্ষিত রাখে।
কফি চাষের উপযোগিতা
কফি চাষের জন্য উষ্ণ (২০-৩০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা) ও আর্দ্র জলবায়ু এবং বার্ষিক ১৫০-২০০ সেমি. বৃষ্টিপাত উপযুক্ত। কুয়াশা ও আর্দ্রতা কফি গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে ফল পাকার সময় শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। মৃদু অ¤øধর্মী (পিএইচ ৫.৫-৬.৫) এবং লৌহ, পটাশ, নাইট্রোজেন ও জৈবসমৃদ্ধ উর্বর লালচে দো-আঁশ মাটি কফি চাষের পক্ষে আদর্শ। সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের ঢালে ঢালে কফি চাষ করা হয়। এইসব ঢালে সূর্যের কিরণ তির্যকভাবে পড়ে বিধায় ছায়া প্রদানকারী গাছ লাগানোর প্রয়োজন হয় না। তবে সমতলে চাষাবাদ করা হলে তীব্র সূর্যালোকের হাত থেকে কফি গাছকে রক্ষার জন্য বাগানের মধ্যে ছায়া প্রদানকারী যেমন- ইপিল-ইপিল, একাশিয়া, কলা প্রভৃতি গাছ লাগানো যায়।
বাংলাদেশে কফি চাষের প্রেক্ষাপট  
কয়েক দশক পূর্বেও ভিয়েতনামে কোন কফি চাষ হতো না, কিন্তু বর্তমানে ভিয়েতনাম বিশে^র ২য় সর্বোচ্চ কফি উৎপাদনকারী দেশ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ কফি বেল্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এখানকার আবহাওয়া ও জলবায়ু কফি চাষের উপযুক্ত। এ ছাড়াও দিন দিন কফির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলের অনেক দেশেই বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৯৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ১২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় পার্বত্য জেলাগুলোতে কফি চাষ শুরু করে। খাগড়াছড়িতে ৮টি উপজেলায় ১৩৫০ একর জমিতে ২০,০০০ কফি চারা রোপণ করা হয়। ২০০১ সালের দিকে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ আরম্ভ হয় যা ইতোমধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখছে। ২০১১ সালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় একটি বেসরকারি সংস্থা ৫০০ চারা দিয়ে কফি চাষ শুরু করে এবং বর্তমানে মোট গাছের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার। কয়েক বছর পূর্বে সিলেট,      মৌলভীবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত চা বাগানগুলোতে রাবার চাষে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এবং দেশে কফির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিবেচনা করে অনেকে কফি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মথিউরা চা বাগানের ৪৪ একর জায়গায় ১০,০০০ কফি চারা রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও, টাঙ্গাইলের মধুপুরে কফির চাষ হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলে কফি চাষ
২০০৯ সালের দিকে নীলফামারী জেলার কৃষক আবদুল কুদ্দুসের হাত ধরে উত্তরবঙ্গে কফি চাষের যাত্রা শুরু হয় । কফি চাষের সম্ভাবনা ও প্রাপ্তি সম্পর্কে আবদুল কুদ্দুস জানান যে. ২০০৯ সালে ঢাকায় নার্সারি সমিতির সভায় গিয়ে প্রথম কফি চারার খবর পাই। ২০১৪ সালে কক্সবাজারের জাহানারা অ্যাগ্রো থেকে ১৫০টি গাছ এনে তিনি তার নার্সারির দুই শতক জমির মধ্যে তিন ফুট পর পর চারা রোপণ করেন। এ নার্সারি ব্যবসায়ী ও কৃষক জানান, শুধু কিশোরগঞ্জ নয়, পুরো উত্তরাঞ্চলে কফি চাষ করা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন সরকার ও কৃষি বিভাগের কার্যকরি উদ্যোগ। তাহলে কফি চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু করা সম্ভব। এতে দেশের গন্ডি পেরিয়ে কফি আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ করা যেতে পারে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। পরবর্তীতে নীলফামারীর আরও তিনটি উপজেলায় এবং রংপুরের তারাগঞ্জে কফি চাষ ছড়িয়ে পড়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নীলফামারী জেলায় বেশ কিছু কফি বাগান সৃজনের কাজ শুরু হয়েছে।  
উত্তরাঞ্চলে কফি চাষের সম্ভাবনা  
মৃত্তিকা গবেষণা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ঝজউও) এর তথ্য মতে, সমগ্র উত্তরবঙ্গ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রায় সবকটি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জেলার মাটি সামান্য অ¤øধর্মী হওয়ায় তা কফি চাষের অনুক‚ল। উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বরেন্দ্রভূমি এবং মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ের লালচে মাটি যথেষ্ট লৌহ, পটাশ, নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ যা কফি চাষের পক্ষে আদর্শ। এ ছাড়াও তিস্তা অববাহিকায় অবস্থিত উত্তরের জেলাগুলোতে মাটি ঈষৎ অ¤øধর্মী হওয়ায় তা কফি চাষে সহায়ক। আবহাওয়া ও মৃত্তিকাগত সম্ভাবনা ছাড়াও এদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে : (১) উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো এখনো যথেষ্ট শিল্পসমৃদ্ধ না হওয়ায় প্রচুর নারী শ্রমিক পাওয়া যায়। (২)আংশিক ছায়াযুক্ত বসতবাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতে, রাস্তার পাশে, রেললাইনের ধারে, কফি গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে।  (৩) সামাজিক বনায়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পতিত জমি, সরকারি খাসজমিতে কফি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বার্ষিক আয়ের সুযোগ রয়েছে। (৪) কফি গাছ ছোট থাকা অবস্থায় বাগানের মধ্যে সাথী মিশ্র ফলন হিসেবে আদা, হলুদ প্রভৃতি মসলাজাতীয় ফসল চাষ করা যেতে পারে।  (৫) উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমিসহ অনেক জায়গা এখনো পতিত অবস্থায় কিংবা এক ফসলি জমি হিসেবে শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব জমির সর্বোচ্চ ব্যবস্থায় নিশ্চিত করতে কফি চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। (৬) একেকটি কফি গাছে যে পরিমাণ ফুল আসে তাতে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম মধু সংগ্রহ করা যায়। (৭) বীজ ও মধু ছাড়াও কফি গাছের অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে শ্যাম্পুও তৈরি করা সম্ভব।
দেশে কফির চাহিদা যে হারে বাড়ছে সেই হারে কফি উৎপাদন হচ্ছে না বিধায় প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে কফি আমদানি করতে হয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের কফি আমদানি ব্যয় ছিল ৯৩৮০০ মার্কিন ডলার যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ২২.৮% বেশী। দেশে কফির উৎপাদন বাড়িয়ে এবং আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কফি চাষের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের সুপারিশ অনুযায়ী অঞ্চল বাছাইপূর্বক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী নানান উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ আর সঠিক কর্মপরিকল্পনায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক পরিকল্পনা এবং যথাযথ বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে কফি চাষ সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে তা নতুন অর্থকরী ফসল হিসেবে এদেশে তথা উত্তরাঞ্চলে সম্ভাবনার নব দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।য়

১আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রংপুর অঞ্চল, মোইল : ০১৭১৬৬৯৭১৯৬ ই-মেইল : ৎবুধঁ১০১৭১৬৬@মসধরষ.পড়স
২কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, তারাগঞ্জ, রংপুর, মোবাইল : ০১৭১৭৪৫২৫৩৩