জলবায়ুর পরিবর্তন ও বাংলাদেশের কৃষি
ড. মো: হুমায়ূন কবীর
বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, এটি মোট শ্রমশক্তির ৪৫.৪ ভাগ জোগান দিয়ে থাকে এবং বিবিএস এর তথ্য মতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে এই খাতের অবদান ১১.৫৫ শতাংশ। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় এই খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের নির্দোষ শিকার। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.৪৭% হলেও এটি বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু সংবেদনশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ওয়ার্ল্ড রিস্ক ইনডেক্স-২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৯৩টি দেশের মধ্যে ৯ম স্থানে রয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক আচরণ পরিবর্তন না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২% এর সমতুল্য হবে, যা ২১০০ সালের মধ্যে ৯.৪% এ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে মোট ৫৭টি আন্ত:সীমান্ত নদীর পানি প্রবাহিত হয় ৫৪টি পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে এবং ৩টি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ সমুদ্র লেবেল থেকে সাত ফুটেরও কম উচ্চতায় অবস্থিত। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় (ডিওই, ২০২২) বিগত ৩০ বছরের প্রবণতা বিশ্লেষণ দেখা যায়, প্রতি বছর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৩-৬ মিমি. বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১২.৩৪%-১৭.৯৫% এলাকা প্লাবিত হবে। শুধুমাত্র সমদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিই চাল উৎপাদনে ৫.৮%-৯.১% হ্রাসের জন্য দায়ী হবে এবং ১ মিটার সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রায় ১.৫ মিলিয়ন উপকূলীয় মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।
জলবাযু পরিবর্তনের কারনে দেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি
সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসল ক্ষতিপ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলোয় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ দুই লাখ আট হাজার ৫৭৩ হেক্টর। মোট ক্ষতিগ্রস্ত জমির মধ্যে সাত জেলাতেই ক্ষতি হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর। দেশের পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় আনুমানিক ১৪ হাজার ৪২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা প্রায় এক দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ২০২২ সালের মে এবং জুন মাসের দুটি ধ্বংসাত্মক বন্যায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৯টি জেলায় প্রায় ৭.২ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১,১১৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়নন বোর্ড (বিডাব্লিউডিবি) অনুসারে, ১৫ থেকে ১৭ জুন ২০২২ এর মধ্যে মাত্র তিন দিনে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২৪৫৮ মিমি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল- যা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিকটবর্তী। এটি ১২২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ২০২২ সালের উক্ত ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় ১,১১৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর গড়ে ০.০১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ৮.৪ মিলি. মিটার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে। তা ছাড়া বর্ষা ও শীতকালের বৃষ্টিপাতের সময় ও পরিমাণে পরিবর্তন ঘটছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে কৃষি খাতে। বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং শুকনো মৌসুমে দীর্ঘ খরা কৃষি ও পানির সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। হাওর অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। একই সঙ্গে বৃষ্টিপাতের অনিয়মিততা দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের উষ্ণতার কারণে ঘূর্ণিঝড় আরো শক্তিশালী হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সমদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০৫০ সালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে দেশের ১৭ শতাংশ ভূমি সমদ্রপৃষ্ঠের নিচে চলে যেতে পারে এবং প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। এই বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরমুখী প্রবাহ ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে চাপ আরো বাড়াবে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করবে।
কৃষি ক্ষেত্রে জলবাযু পরিবর্তনের প্রভাব
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনুভব করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের প্যাটার্নের পরিবর্তন প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির আবাসস্থলে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর অঞ্চল, মিঠা পানির জীববৈচিত্র্যর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে হুমকির মুখে পড়তে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ম্যানগ্রোভ বন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংকটে পড়বে। বাংলাদেশের কৃষি দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। গত কয়েক দশকে জলবায়ুর এই চেনা ছন্দে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, যা ধান, গম, ভুট্টার মতো প্রধান ফসলের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি করছে।
ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য এবং দেশের বেশির ভাগ মানুষ ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত। তবে ধান উৎপাদনে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গড়ে ১০ শতাংশ হ্রাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশেষ করে বোরো ধানের উৎপাদন ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ কমে যেতে পারে (ঋড়ড়ফ ধহফ অমৎরপঁষঃঁৎব ঙৎমধহরুধঃরড়হ, ২০১৯)। গবেষণাগুলো স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে রাতের তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে ধানের ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বোরো ধানের উৎপাদন ১৭ শতাংশ এবং গম উৎপাদন ৩২ শতাংশ কমে যেতে পারে। পেঁয়াজ, রসুন, আলু এবং অন্যান্য অর্থকরী ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গম বাংলাদেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গম উৎপাদন প্রায় ৩২% হ্রাস পেতে পারে (ঋড়ড়ফ ধহফ অমৎরপঁষঃঁৎব ঙৎমধহরুধঃরড়হ, ২০১৯)। গম সাধারণত ঠা-া আবহাওয়ায় ভালো ফলন দেয়, কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গমের চাষ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গমের বীজের অঙ্কুরোদগম কম হচ্ছে এবং ফসল কাটার সময়কাল কমে যাচ্ছে। এর ফলে ফলনও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। গমের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সমস্যা হলো রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কিছু নতুন রোগ এবং পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে, যা গমের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে। কৃষকদের অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা কৃষিকাজের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং মাটির গুণগত মান নষ্ট করছে।
এ ছাড়া উচ্চ তাপমাত্রা এবং অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ধানক্ষেতের মাটির আর্দ্রতা হ্রাস করছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও নিচে নেমে যাচ্ছে। এর ফলে কৃষকদের ফসলের জন্য বেশি সেচের পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা কৃষিকাজের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং ফলন কমিয়ে দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু ধান এবং গমেই সীমাবদ্ধ নয়; শাকসবজি, ফলমূল এবং অন্যান্য অর্থকরী ফসলেও এর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, আলু এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ফলন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফসলের গুণগত মানেও পরিবর্তন আসছে, যা বাজারে কৃষকদের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা হ্রাস করছে।
বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের একটি বড় দিক হলো মাটির উর্বরতা কমে যাওয়া। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মাটির গুণগত মান এবং আর্দ্রতা হ্রাস পাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি বড় সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে মাটির পুনরুজ্জীবনের জন্য অতিরিক্ত সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা কৃষিকাজের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং ফলন কমিয়ে দিচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় করণীয়
আবহাওয়া ও জলবায়ুর গতিবিধি প্রাকৃতিক নিয়মে হয়ে থাকে। প্রকৃতির অসীম দয়ার ওপর কৃষি টিকে আছে। লাগসই, টেকসই কৃষি উৎপাদনের জন্য কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের কাছে তাদের উপযোগী ভাষায় সময় মতো সহজ সরলভাবে দ্রুত ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা একান্ত প্রয়োজন। আবহাওয়ার আগাম স্মার্ট তথ্যাদি কৃষি উৎপাদনে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণে কার্যকর বাস্তবায়নে এবং উৎপাদিত ফসলের ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাসের ভিত্তিতে চাষাবাদ করা গেলে দেশের ফসলের উৎপাদন অন্তত ৭ শতাংশ বৃদ্ধি আর কৃষকের আয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সচল রেখে উৎপাদন বাড়ানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপখাইয়ে নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং তার মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্পসারণ। জলবায়ুজনিত প্রতিকূলতা প্রশমনে পরিবর্তিত জলবায়ু উপযোগী লাগসই প্রযুক্তিগুলো বিশেষ করে লবণাক্ত এলাকা, খরাপ্রবণ এলাকা, নাবি খরাপ্রবণ এলাকা, আকস্মিক বন্যাপ্রবণ, নাবি বন্যাপ্রবণ এলাকা, ঠা-াপ্রবণ এলাকা, অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা এলাকা, মঙ্গাপীড়িত এলাকাভিত্তিক ফসলের জাত সেই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয় শস্যবিন্যাসগুলো অনুসরণ করে ধানসহ সব ধরনের ফসল চাষের মধ্য দিয়ে দেশের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়ানোর যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।
জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি যেমন ভাসমান বেডে সবজি চাষ, বিনা চাষে রসুন চাষ, বস্তায় সবজি চাষ, এডাব্লিউডি পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ, বসতবাড়িতে ফল ও সবজি চাষ, কমিউনিটি গার্ডেনিং, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ সার, জীবাণু সার, খামারজাত সার, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন, উচ্চ মূল্য ফসল চাষ, ছাদবাগান, মাশরুম চাষ ইত্যাদি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করতে হবে।
আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষার জন্য বন্যা সহিঞ্চু এবং স্বল্প জীবনকালীন অধিক ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টার জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ ডাল, তেল, মসলা, কন্দাল, ফল ও সবজি চাষের মাধ্যমে শস্য বৈচিত্রিকীকরণ করার পাশিপাশি নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গড়ে তুলতে হবে।
তাছাড়া কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক চাষের আওতায় আনা ও ভবিষ্যৎ ক্লাইমেট স্মার্ট আধুনিক লাভজনক কৃষি রূপান্তরে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও ক্লাইমেট স্মার্ট সেচ ব্যবস্থাপনার (সোলার সেচ সিস্টেম, ড্রিপ সেচ পদ্ধতি এবং বারিড পাইপ সেচ পদ্ধতি) আওতায় আনার বিষয়ে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী দিনের পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপখাইয়ে আরও ঘাত সহনশীল ও উচ্চফলনশীল বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী দেশের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার কোন বিকল্প নেই। কৃষি একটি বাস্তবমুখি অপরিহার্য চর্চা। কৃষি বাঁচলে দেশের মানুষগুলো দুমুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে।
লেখক : সহকারী প্রকল্প পরিচালক (প্রশিক্ষণ), ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১২৫৩৭৩৬৪