ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব ও রোপণে করণীয়
ড. মোঃ আলতাফ হোসেন
ফল খেলে বাড়ে বল, দেহ পায় পুষ্টি
বাড়ির পাশে ফলগাছ- মনে জাগায় স্বস্তি।
দূষিত বায়ু শোষণে বায়ু হয় পরিষ্কার
বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ করে বেশ চমৎকার।
সূর্যালোককে বাধা দিয়ে মাটি ও বায়ুকে রাখে ঠা-া
পাখি ও বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে উড়ায় ঝা-া।
ফলগাছ সরবরাহ করে খাদ্য, যা পুষ্টিতে ভরপুর
চারিদিকে ছড়ায় ফুলের সুবাস- কতই না সুমধুর!
ফলদ বৃক্ষের কাঠের আছে বহুবিধ ব্যবহার
আসবাবপত্র তৈরিতে তাদের জুড়ি মেলা ভার।
সুস্থ-সুন্দর ইকোসিস্টেমের জন্য গাছের বিকল্প নাই
আসুন সবাই মিলে আমরা ফলদ বৃক্ষ রোপণ করে যাই।
ফলদ বৃক্ষরোপণে বিবেচ্য বিষয় এখন সংক্ষেপে বলছি ভাই
রোপণ করতে গিয়ে সেগুলোকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখা চাই।
এলাকার আবহাওয়া উপযোগী ফলগাছ করতে হবে নির্বাচন
কলমের চারা রোপণে মাতৃগাছের গুণাবলী থাকবে নিয়ন্ত্রণ।
উর্বর মাটিতে রৌদ্রোজ্জ¦ল স্থানে করতে হবে চারা রোপণ
চারায় খুটি বেঁধে ও বেড়া দিয়ে করতে হবে সেটা সংরক্ষণ।
নিয়মিত সার ব্যবস্থাপনা ও পানি দিয়ে নিতে হবে গাছের যত্ন
ফলে-ফলে সুশোভিত হবে- “খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ফলদ রত্ন”।
ফলদ বৃক্ষের চারা রোপণ করুন বৃষ্টির সময়- বর্ষাকালে
বসতবাড়ির উঠোন, ভিটা, পুকুরপাড়ে ও রাস্তার ঢালে।
ছাদবাগানেও করা যাবে ফলদ বৃক্ষের বাগান
আকার-আকৃতি বিবেচনা করে ছাদে গাছ লাগান।
নির্মল আনন্দ পাবেন সেখানে- সময় যাবে কেটে
গাছের আকৃতি ছোট রাখতে ডালপালা দিন ছেঁটে।
শৌখিনতা ও পুষ্টি নিরাপত্তার আরেক নাম- “ছাদবাগান”
ইট পাথরের মাঝে সবুজের সমারোহ দেয়- আনন্দের জোগান।
খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা যদি সবাই চান
যার যেখানে সুযোগ আছে সেখানেই ফলদ বৃক্ষের চারা লাগান।
লেখক : মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা। মোবাইল : ০১৭২৫-০৩৪৫৯৫,