Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

গলদা চিংড়ি পোনা প্রতিপালনের উত্তম পদ্ধতি

গলদা চিংড়ি পোনা প্রতিপালনের উত্তম পদ্ধতি
মোঃ তোফাজউদ্দীন আহমেদ
বাংলাদেশের মাছ চাষে গলদা চিংড়ি একটি অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন প্রজাতি এবং উপকূলীয় জেলাসমূহের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এর ভূমিকা অপরিসীম। মাছটি অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সকল এলাকার জনসাধারণ  মাছটিকে ভীষণভাবে পছন্দ করেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে গলদা চিংড়ির ব্যাপক চাহিদা, উচ্চমূল্য, মৃদু লবণাক্ত (৫-১০ পিপিটি) ও স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ প্রযুক্তির সফলতা প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় ক্রমাগত এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে। উপকূলীয় বাগদা চিংড়ির ঘেরসমূহের ক্রমান্বয়ে গলদা চিংড়ি ঘেরে রূপান্তর হচ্ছে। কারণ বাগদা চিংড়ি চাষে নানাবিদ রোগের প্রাদুর্ভাব, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, নদী-খাল ভরাট হওয়ায় লবণাক্ত পানি ঘেরসমূহ স্বাদু পানির বার্ষিক ঘেরে রূপান্তর। বর্তমানে কয়েকটি কোম্পানি অলমেইল (৮০%) গলদার পোনা বাজারজাতকরণ শুরু করেছে যা এ মাছচাষে নতুন সম্ভাবনার দার উন্মোচন করেছে। 
হ্যাচারিতে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে গলদা চিংড়ির পোস্ট লার্ভা (পিএল) উৎপাদিত হয়। সেখানে পানির ভৌত রাসায়নিক সকল উপাদানই কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় এমনকি রোগজীবাণুও থাকে না। এমন একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উৎপাদিত পিএল হঠাৎ করে উন্মুক্ত অনিয়ন্ত্রিত পুকুরের পরিবেশে ছাড়লে দুর্বল ও নাজুক হয় বিধায় নতুন পরিবেশে হঠাৎ করে খাপখাইয়ে নিতে পারে না। এ জন্য চাষের পুকুরে পিএল মজুদের আগে অবশ্যই পুুকুরের বাড়তি পরিচর্যা আলাদাভাবে পোনা প্রতিপালনের জন্য নার্সারি করা প্রয়োজন। নার্সারিতে যত্ন সহকারে ৪৫-৬০ দিন লালন-পালন করে মজুদ পুকুরে ছাড়ার উপযোগী জুভেনাইল (তরুণ) উৎপাদন করা হয়।
নার্সারি পুকুর প্রস্তুতের ধাপসমূহ
পুকুর সংস্কার করা : পোনা প্রতিপালনে সফল হতে হলে পুকুর সম্পূর্ণ শুকাতে হবে, পুকুর শুকালে সকল ধরনের অবাঞ্ছিত মাছ (টাকি, বাইন, শোল, তেলাপিয়া ইত্যাদি) অবশ্যই দূর হবে এবং পুকুরের পাড় মেরামতে সুবিধা হবে। পুকুর শুকিয়ে পুকুরের তলদেশে জমাকৃত জৈব তলানি যতদূর পারা যায় অপসারণ করতে হবে। কারণ ঐ তলানিতে বিগত দিনের মাছ চাষের সকল প্রকার জৈব উচ্ছিষ্ট জমা থাকে, জলজ আগাছা এবং পার্শবর্তী গাছের ডাল পাতা পচে পুকুরের তলার মাটিতে জমে, যা থেকে ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদন হয়ে পুকুরের পানির পরিবেশ নষ্ট করে। এ ছাড়াও মাছে রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুসমূহ এ কাদার ভেতরে জন্মে থাকে। তলার এ কাদা অপসারণ করলে পোনা চাষের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। কাদা অপসারণ দুভাবে করা যায়। প্রথমত, পুকুরের পানি সেচের সময় পানির সাথে কাদা গুলিয়ে অপসারণ করা। দ্বিতীয়ত, পুকুর শুকিয়ে কায়িক পরিশ্রমে এক পর্দা (৬-৯ ইঞ্চি) মাটি কেটে অপসারণ করা। নতুন পুকুর হলে এ ধরনের কাজের কোন প্রয়োজন হবে না।
পুকুর পাড়ের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা : পুকুরের পাড়ে সকল ধরনের আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে কারণ এ ঝোপঝাড়ে পোনার ক্ষতিকর পোকামাকড়, কিটপতঙ্গ, সাপব্যাঙ বসবাস করতে পারে, যা শুধু পোনা খেয়ে ক্ষতি করে না অনেক সময় নানা ধরনের রোগের বিস্তার ঘটাতে সাহায্য করে। 
পুকুরের পানিতে ছায়া সৃষ্টিকারী পাড়ের বড় গাছের ডালপালা ছাঁটাইকরণ : পোনা চাষের পুকুরের পাড়ে কোন ধরনের ছায়া প্রদানকারী গাছ না থাকা ভালো, থাকলে তার ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে, যাতে রোদ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি না করে এবং গাছের পাতা পড়ে পুকুরের পানির পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে। অনেক সময় মৎস্য শিকারি পাখি এ গাছে বসে বা বাসা বেঁধে পোনার ক্ষতি করে থাকে।   
পুকুরের পাড় ও পাড়ের ঢাল মেরামত করা : পুকুরে বন্যা বা বর্ষার পানি প্রবেশ করে পোনার ক্ষতি না করতে পারে এ জন্য পুকুরের দুর্বল পাড় অবশ্যই মেরামত করে দিতে হবে। কাঁকড়া বা সাপের গর্ত থাকলে ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেকে নীল নেট বা জিওটেক্স মেমব্রেন দিয়ে পাড়কে ঢেকে দেন যাতে পাড় মজবুত ও টেকসই হয়। 
চুন প্রয়োগ : পুকুর প্রস্তুতের সময় পুকুরে সাধারণত পোড়া চুন (ঈধঙ) শতকে ১ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে তবে যদি পুকুর না শুকানো হয় বা তলদেশের মাটি যদি জুপ হয় বা যদি জৈব পদার্থ বেশি থাকে তবে শতকে ২ কেজি হারে চুন দিতে হবে। চুন পর্যাপ্ত পানির সাথে গুলিয়ে সারা পুকুরের তলদেশ এবং পাড়ে ভালোভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে চাষ চলাকালীন সময় পুকুরে ডলোচুন {ঈধগম (ঈঙ৩)২} এবং কৃষি চুন (ঈধঈঙ৩) ব্যবহার করা ভালো। সেক্ষেত্রে পুকুরের পানির পিএইচ এর মাত্রার ওপর ভিত্তি করে চুনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে কারন চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে পুকুরের পানির এলকালিনিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জৈব নিরাপত্তা বেষ্টনি স্থাপন : চাষ চলা কালে পুকুরের পোনার জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তথা ক্ষতিকর প্রাণী যথা- হাঁস, ছাগল, কুকুর, ইঁদুর, সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করা বা এদের মাধ্যমে রোগজীবাণু নার্সারিতে প্রবেশ বন্ধ করার জন্য নাইলোনের ঘন জাল দিয়ে পুকুরের চারিদিকে বেড়া দিয়ে দিতে হবে। এ বেড়ার মাধ্যমে কেবল পোনার জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হয়।
পানি প্রবেশ করানো : পুকুরের চারিদিকে বেস্টনি দেবার পরে পুকুরে নিরাপদ উৎসের পরিষ্কার পানি নার্সারিতে প্রবেশ করাতে হবে এবং পানির গভীরতা ৩-৪ ফুট পর্যন্ত উন্নিত করতে হবে। গভীর-অগভীর নলকূপের পানি প্রবেশের সময় ব্যতীত অন্যান্য উৎসের পানি ঘন ম্যাশের নেট দিয়ে ছেকে পানি নার্সারিতে প্রবেশ করানো ভালো। পুকুরে পানি প্রবেশের পরে পানি যদি ঘোলা হয় তবে শতকে ৩০০-৪০০ গ্রাম হারে আর এক ডোজ চুন (ঈধঙ) প্রয়োগ করতে হবে। 
নার্সারি পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি : পিএল এর প্রাকৃতিক খাবার হলো প্রধানত উদ্ভিদ-প্লাংকটন ও প্রাণী-প্লাংকটন। উদ্ভিদ-প্লাংকটন এর উৎপাদন নির্ভর করে পুকুরের মাটি ও পানিতে বিদ্যমান দ্রবীভূত পুষ্টির ওপর। পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য বিশেষ করে জুপ্লাংকটন তৈরির জন্য চুন প্রয়োগের ৪-৫ দিন পর ছকে উল্লেখিত উপাদানগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছক : জুুংপ্লাংকটন তৈরির উপাদানসমূহ-
প্রাকৃতিক খাদ্য উপস্থিতি পরীক্ষা : নার্সারি পুকুরে পিএল মজুদের পূর্বে প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা করা নার্সারি ব্যবস্থাপনার অপরিহার্য অংশ। পুকুরের পানির রং বাদামি সবুজ বা হালকা বাদামি হলে বুঝতে হবে পুকুরের পানি পিএল ছাড়ার উপযোগী। প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষার জন্য বহুলভাবে ব্যবহৃত বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিসমূহ হলো- সেক্কি ডিস্ক পদ্ধতি; হাত-কনুই পদ্ধতি ও গামছা গ্লাস পদ্ধতি।
পোনা চিংড়ির আশ্রয় স্থল স্থাপন : পিএল মজুদের ১-২ দিন আগে আশ্রয়স্থল স্থাপন করতে হবে যাতে ডালের খসখসে ভাব চলে যায় ও আশ্রয়স্থলের গায়ে পর্যাপ্ত পেরিফাইটন জন্ম নিতে পারে যা পিএল-এর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাল বা নারিকেলের পাতা প্রতি শতাংশে ১-২টি এমনভাবে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে যাতে পাতার অংশ কাদা থেকে একটু উপরে থাকে। এক্ষেত্রে তাল বা নারিকেলের পাতা কোনাকুনি (৪৫ ডিগ্রি) পুঁতে দিলে আশ্রয়স্থল হিসেবে বেশি জায়গা পাওয়া যাবে এবং পাতাগুলো কাদার উপর থাকলে সহজে পচবে না। বাঁশের কঞ্চি আঁটি বেঁধে অথবা প্লাস্টিকের পাইপ পৃথক পৃথকভাবে পুকুরের তলায় মাটির ওপর রেখে দিতে হবে। অন্যান্য উপকরণগুলো আনুপাতিকহারে ব্যবহার করতে হবে। কোন অবস্থাতেই কাঁচাপাতাসহ ডাল বা কঞ্চি পুকুরে দেয়া যাবে না। তাছাড়া ১৫-২০ দিন পর পর পাতা, ডাল বা কঞ্চি তুলে শুকিয়ে পুনরায় পুকুরে দিতে হবে। আশ্রয়স্থল হিসেবে নারকেল বা খেঁজুর বা তালপাতা ব্যবহার করলে পচে যাওয়ার আগে উঠিয়ে ফেলতে হবে।
নার্সারি পুকুরে পিএল মজুদের আগে করণীয় : পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার তৈরির জন্য জুস প্রয়োগের ৪-৫ দির পরে চিংড়ি পিএল মজুদের আগের কয়েকটি কাজ করতে হয় যেমন-  
নার্সারি পুকুরের পানি জীবাণুমুক্তকরণ : পুকুরে পিএল মজুদের আগে পিএল নিরাপদ রাখার জন্য পুকুরের পানিতে টন প্রতি ১ এমএল (১ শতক পুকুর গড়ে ৩ ফুট গভীর হলে প্রায় ৪০ টন পানি থাকে) বেনজাইল ক্লোরাইড প্রয়োগ করতে হবে। 
নার্সারি পুকুরের পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা : নার্সারি পুকুর প্রস্তুতের সময় যে কোন কারণে পুকুরের পানি পিএল এর জন্য অনুপযোগী হতে পারে। পিএল মজুদের আগে পুকুরের পানির উপযুক্ততা পরীক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। যে পুকুরে পিএল মজুদ করা হবে সে পুকুরে পিএল মজুদ করার আগের দিন একটি মশারির হাপা (৫ ী ৭ বর্গফুট) স্থাপন করে হাপাতে ১০-১৫টি পিএল অথবা মাছের ছোট পোনা অথবা গুঁড়া চিংড়ি দিয়ে ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি শতকরা ৮০ ভাগ পোনা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকে তবে বুঝতে হবে পানিতে বিষাক্ততা নেই। এমতাবস্থায় পুকুরে পিএল মজুদ করা যাবে। স্থাপিত হাপার তলদেশ অবশ্যই মাটি স্পর্শ করতে হবে।
নার্সারিতে পুকুরে পি এল মজুদের সময় করণীয় : বিশ্বস্ত সনামধন্য ভালো হ্যাচারি থেকে ভালো মানের পিএল সংগ্রহ করতে হবে। পিএল শতকে সাধারণত ১০০০টি মজুদ করতে হয় তবে যদি পুকুরের গভীরতা ৫ ফুট হয় এবং এ্যারেশন সুবিধা থাকে তবে শতকে ২০০০টি পর্যন্ত মজুদ করা যেতে পারে। পিএল অক্সিজেন ব্যাগে পরিবহন করতে হবে এবং সন্ধ্যার সময় পুকুরে ছাড়তে হবে। পিএল মজুদের সময় নি¤েœাক্ত কাজগুলো করা প্রয়োজন- 
া পিএলসহ অক্সিজেন ব্যাগ পানিতে ভাসিয়ে দিতে হবে, যাতে ব্যাগের পানি এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রার সমতা আসতে পারে;
া এ সময় পুকুরে সোডিয়াম পার কার্বনেট শতকে ১০ গ্রাম হারে প্রযোগ করতে হবে যাতে পানিতে অক্সিজেনের প্রাচুর্যতা পর্যাপ্ত হয়;
া এ সময় পুকুরের পানিতে স্যালাইন শতকে ১ গ্রাম অথবা ভিটামিন সি একই হারে ছিটিয়ে দিতে হবে ইহা পোনার দ্রুত পীড়ন (ঝঃৎবংং) মুক্ত হতে সাহায্য করে
া অক্সিজেন ব্যাগের মুখ খুলে ৫-১০ মিনিট ধরে পুকুরের পানি ব্যাগের ভেতরে ছিটিয়ে দিতে হবে যাতে ব্যাগের পানি ধীরে ধীরে পুকুরের পানির অনুরূপ হয় এবং পোনা নতুন পানির সাথে সহনশীল (অপপষরসধঃরমব) হতে পারে;
া পুকুরের এক স্থানে না ছেড়ে পোনা কয়েকটি স্থানে ভাগ করে ছাড়াই উত্তম। 
নার্সারি পুকুরে খাদ্য প্রদান
নার্সারি পুকুরে খাদ্য প্রদানের পরিমাণ সারণি দ্রষ্টব্য। নার্সারি পুকুরে চাহিদা মতো ভালোমানের পিলেট খাবার সকাল-সন্ধ্যা, মাঝ রাতে ও ভোরবেলা পুকুরের নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।
১ম দুই সপ্তাহে প্রিনার্সারি খাদ্য প্রদান করা যেতে পারে; ৩-৪র্থ সপ্তাহ নার্সারি (০) খাবার করা যেতে পারে; ৫-৬তম সপ্তাহ পর্যন্ত স্টার্টার-১ এবং; পরবর্তী সপ্তাহসমূহে স্টার্টার-২ ব্যবহার করতে হবে; খাবার খাদ্যদানীতে প্রয়োগ করতে পারলে ভালো হয়; ৩৩ শতক আয়তনের একটি নার্সারি পুকুরে ৪ থেকে ৬টি খাদ্যদানি বা ট্রে ব্যবহার করতে হবে; খাদ্য প্রয়োগের পূর্বে খাদ্য অবশিষ্ট আছে কি না তা পরীক্ষা করতে হবে; খাদ্য দিনে ৪-৬ বার প্রয়োগ করতে হবে; উল্লেখ্য গলদার খাবার এ আমিষের পরিমাণ কম পক্ষে ৩০-৩৫% হতে হবে এবং পানিতে অধিক সময় স্থায়ীত্বশীল হতে হবে। 
খাদ্য প্রয়োগে সতর্কতা
া প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার কোনোভাবেই প্রয়োগ করা যাবে না।
া খাদ্য পুকুরের পানিতে দ্রুত গলে যায় কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
া খাদ্য প্রয়োগ নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
চাষ চলাকালে করণীয় : মাঝে মাঝে পুকুরের পানির রং পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণ কমে যায় তবে আগের মাত্রায় জুস ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর শতকে ১০০-২০০ গ্রাম হারে ডলোচুন {ঈধগম (ঈঙ৩)২} প্রয়োগ করতে হবে। চাষের বয়স ২০ দিন হলে ভালো মানের প্রবায়টিক্স দিতে হবে। মাঝে মধ্যে ঠেলাজাল দিয়ে ধরে পোনার বাঁচার হার এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
নার্সারিতে পিএল চাষ করলে পোনা বাচার হার ৮০ ভাগ হতে পারে এবং মজুদ পুকুরে ছাড়ার উপযুক্ত হতে সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় লাগতে পারে। 
 
লেখক : বিভাগীয় উপপরিচালক (অবসর প্রাপ্ত),  মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, মোবা : ০১৭৫১৯৩৯৯৩২,