সম্পাদকীয়
দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক কর্মকা-ের মূল চালিকাশক্তি কৃষি। আর কৃষির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ষড়ঋতুর বারো মাস। শ্রাবণ মাসে মেঘ, বৃষ্টি, রৌদ্রছায়ায় পুরো আকাশে বহুমাত্রিক রূপ উদ্ভাসিত হয়। শ্রাবণ শেষেই হবে বর্ষার বিদায়। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে ষড়ঋতুর ওপর প্রভাব পড়ছে। ঋতুবৈচিত্র্যের ধরন পাল্টে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্রাবণের আকাশ এখন আর মেঘে ঢাকা থাকে না। এরপরও নদীমাতৃক সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা এ দেশের কৃষি সমৃদ্ধিতে নেয়া হচ্ছে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা। বিশে^র সাথে তালমিলিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি বিশেজ্ঞগণ বিভিন্ন ধরনের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন।
কৃষিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল জলবায়ু, খরা, লবণাক্ততা, মাটির উর্বরতা হ্রাস, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান জমি প্রভৃতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। টেকসই কৃষি বাস্তবায়নে জমির উপযোগী ফসল আবাদ, মাটির উর্বরতার মান অনুযায়ী সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি, সার খরচ কমানো এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখা সময়ের দাবি। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ক্রপ জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করছে এবং তৈরি করেছে খামারি অ্যাপ। এ সম্পর্কে কৃষিকথায় ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ : সার সাশ্রয় ও অধিক ফলন প্রাপ্তির আধুনিক প্রযুক্তি’ প্রবন্ধটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও কৃষি বিশেষজ্ঞগণের সময়োপযোগী প্রবন্ধ/নিবন্ধ, ফসল উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি, আগামীর কৃষি ভাবনা, সফল কৃষকের গল্প ও নিয়মিত বিভাগ দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের সংখ্যা। যারা এসব লেখা দিয়ে কৃষিকথা সমৃদ্ধ করেছেন তাদের সবার প্রতি রইল আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আশা করি, কৃষিকথা লাগসই কৃষি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।