কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংষ্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার ক্রপস উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো: মাসুদ রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার সরেজমিন উইং এর উপপরিচালক (মনিটরিং) কৃষিবিদ মো: মিজানুর রহমান এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: শাহ কামাল খান।
উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মো: শাহ কামাল খান প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যক্রম, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন এ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত কৃষি আবহাওয়া পরিমাপক বিভিন্ন আইসিটি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের আগাম কৃষি আবহাওয়া বার্তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে বিরুপ আবহাওয়ায় ফসলহানির হাত থেকে কৃষকরা তাদের ফসল বাঁচাতে পারছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: মাসুদ রেজা বলেন ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ পরিস্থিতি এবং বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষির সামগ্রিক আধুনিকায়নের কোন বিকল্প নেই। এজন্য পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা, ফসলের উচ্চফলনশীল জাত বিশেষ করে হাইব্রিড জাতের ব্যবহার বাড়ানো এবং কৃষকের মাঠে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা (এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে) বাস্তবায়নে সকলকে সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আহব্বান জানান। কর্মশালার সভাপতি কৃষিবিদ মো. ফজলুর রহমান বলেন এক সময় বাংলার কৃষি ছিল পুরোটাই প্রকৃতি নির্ভর। ঘূর্ণিঝড়, বন্য, খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক কারনে প্রতিনিয়ত কৃষকের ফসলহানি ঘটতো। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন বাস্তবমূখী কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় কৃষকরা আগাম আবহাওয়া বার্তা পেয়ে নিরাপদে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারছে। তিনি এ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি আওহাওয়া বিষয়ক ডিসপ্লে বোর্ড, অটোমেটিক রেইন গজ, উপজেলা পর্যায়ে কিওস্ক এবং অঞ্চল পর্যায়ে কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের ফলে এ দেশের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের এবং নার্সভূক্ত দপ্তর সমূহের কর্মকর্তাগণ, কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীগণ, কৃষক, জনপ্রতিনিধি এবং মিডিয়াকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।