বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সরেজমিন গবেষণা বিভাগের আয়োজনে ২১ আগস্ট পটুয়াখালীর দুমকিতে আউশের ব্রি ধান৪৮’র ওপর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন প্রতি ইঞ্চি জমির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। পাশাপাশি দরকার বছরে চারটি ফসল উৎপাদন, যদি সুযোগ থাকে। আপনাদের এলাকায় গোলআলু চাষের পর মুগ করা যায়। এরপর আউশ ধান, পরে আমনের আবাদ।চারটি ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। আর তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে নিজেরা সম্পদশালী হবেন। দেশও হবে সমৃদ্ধ।
বারি, পটুয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাইমুল ইসলাম, এসও ড. কাজীনজরুল ইসলাম, মো. ছদরুল আলম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ।
সমন্বিত খামার পদ্ধতি গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ বিঘা জমিতে ব্রি ধান৪৮ আবাদ করা হয়।রোপণের পূর্বে ৬ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে ৪৫ কেজি বীজ, সে সাথে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিতরণ করা হয়। কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বসতবাড়িতে শাকসবজি আবাদ, হাঁস-মুরগি পালন এবং পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি মাঠ ফসল হিসেবে আউশ ও আমন ধান চাষে সম্প্রসারণের জন্য কৃষি উপকরণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়াই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।