মেহেরপুর সদর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ (এনএটিপি-২) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুর সদরের মোমিনপুর গ্রামে বারি মাল্টা-১ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে জাত পরিচিতি, রোপন পদ্ধতি, জমি তৈরি ও নির্বাচন এবং পরিচর্যা বিষয়ের উপর এক মাঠ দিবস ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্টিত হয়।
উক্ত মাঠ দিবসে মেহেরপুর সদর সংশিষ্ট ইউপি সদস্য সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত মেহেরপুর সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাসরিন পারভীন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ দীপক কুমার সাহা এবং সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সুধীজনদের সুভেচ্ছা জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাসরিন পারভীন বলেন, ষড়ভুজ বা বর্গাকার পদ্ধতিতে চারা বা কলম রোপণ করতে হবে। মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য ভাদ্র (মে- আগস্ট) মাস রোপণের উত্তম সময়। তবে পানি বা সেচের ব্যাবস্থা থাকলে সারা বছর রোপণ করা যায়। বারি মাল্টা-১ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে জাত পরিচিতি, রোপন পদ্ধতি, জমি তৈরি ও নির্বাচন এবং পরিচর্যা বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথি উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ বলেন, ফসলের মধ্যে মাল্টা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বিশ্বের সর্বমোট উৎপাদিত সাইট্রাস ফসলের দুই তৃতীয়াংশ হলো মাল্টা। ভিয়েতনাম, উত্তর পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ চীন মাল্টার আদি উৎপত্তি স্থল। তবে বর্তমানে এই ফলটি বিশ্বের উষ্ণ ও অব–উষ্ণমন্ডলীয় এলাকায় বেশী চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন বেড়ে চলছে। কমলার তুলনায় এর অভিযোজন ক্ষমতা বেশী হওয়ায়, পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায় সহজেই চাষ করা যাচ্ছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক এর চাষ করে সফল হচ্ছেন। উন্নত জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহার করে এর উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন বারি মাল্ট-বাগন স্থাপন বৃদ্ধি করতে হবে এবং ফলের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে বলে মাঠ দিবসের উপস্থিত কৃষকদের আবাদ বৃদ্ধি করার জন্য আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের বারি মাল্টা-১ জাত প্রদর্শনী প্লটের ধান আগত চাষীদের দেখানো হয়। আগত চাষীদের সকলেই এ জাতটি আবাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং দ্রæত চারা সরবরাহের আবেদন জানান। অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।