Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ নভেম্বর ২০২০

প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের জন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিশুল্ক ৫-৭% করা হয়েছে-কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2020-11-08

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

কৃষি মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

ঢাকা, ০৮ নভেম্বর ২০২০

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি বলেছেন, কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। এটি নিশ্চিত করতে হলে কৃষিকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। আধুনিকীকরণের একটি দিক হলো মাঠ পর্যায়ে উন্নত জাত, প্রযুক্তি, কৃষি উপকরণের ব্যবহার, অন্যদিক হলো এগ্রো-প্রসেসিং করা। এগ্রো-প্রসেসিং করে উৎপাদিত পণ্যে ভ্যালু অ্যাড করত হবে। সেজন্য, এগ্রো-প্রসেসিং করে কীভাবে কৃষিকে লাভজনক করা যায় সেলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন মূল্যে আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে, লাভজনক কৃষিতে রূপান্তর করতে চাই।

 

কৃষিমন্ত্রী রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী সময়ে ফুড ভ্যালু চেইন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

 

কৃষিকে লাভজনক করতে হলে অপ্রচলিত ফসলের চাষও বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কাজুবাদাম,কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। দেশে যাতে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সেজন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানি শুল্কমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে, সম্প্রতি প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের জন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির উপর শুল্কহার  প্রায় ৯০% থেকে নামিয়ে ৫-৭% নিয়ে আসতে এনবিআর সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে একদম শুল্কমুক্ত করে দেয়া হবে।

 

শুধু প্রক্রিয়াজাত নয়, দেশে কাজুবাদাম চাষ জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছর কৃষকের মাঝে কাজুবাদামের ৫০ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, কম্বোডিয়া থেকে প্রায় ৫ টন হাইব্রিড কাজুবাদামের বীজ আমদানিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ বীজের মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ চারা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বোরহান উদ্দিন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোর্শেদ আহমেদ, কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ, প্রাণ-আরএফএলের পরিচালক উজমা চৌধুরী, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসিং এসোসিয়েশনের (বাপা) মহাসচিব ইকতাদুল হক, ইউনিমার্ট গ্রুপের পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।     

 

 

মো: কামরুল ইসলাম ভূইয়া

তথ্য অফিসার, ০১৬৭২৮৯৭৭৮৯