Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ অক্টোবর ২০২০

কৃষক আব্দুর রহিমের ধান সাড়া ফেলেছে কক্সবাজারে


প্রকাশন তারিখ : 2020-10-27

 

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম কৃষির নতুন প্রযুক্তি ও জাত নিয়ে বেশ আগ্রহী এক কৃষক। কৃষিতে রয়েছে তার বেশ কিছু সফলতা। বাউকুল আবাদ করে সফল কৃষক হিসেবে ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন প্রশংসা ও খ্যাতি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন উচ্চ ফলনশীল নতুন এক স্থানীয় জাতের ধান নিয়ে যা ইতিমধ্যেই জেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে।  


 
নতুন এই জাতটির তিনি সন্ধান পান ২০১৭ সনে। সে বছরের আমন মৌসুমে তিনি পেট্রোক্যাম কোম্পানির এগ্রো-১৪ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করেন। জাতটি চাষ করতে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন ধানের জমির ১টি গোছায় ৪টি ভিন্ন ধরনের শীষ রয়েছে । তিনি শীষগুলো সংগ্রহ করেন এবং তা দিয়ে পরবর্তী বোরো ও আমন মৌসুমে স্বল্প পরিসরে ধান চাষ করেন। উভয় মৌসুমে উৎপাদিত ধানের ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় পুরো ফলনটি তিনি বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করেন এবং  গত বোরো মৌসুমে ধানটি আবাদ করে তার বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষন করেন।  চলমান আমন মৌসুমে তিনি নিজের উৎপাদিত বীজ দিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের খরুলিয়ামুরা মাঠে ৫ একর জমিতে এই ধানের আবাদ করেছেন। আবাদকৃত মাঠ পরিদর্শনকালে দেখা যায়,  এ ধানের প্রতিটি গোছায় ২০-৩০ টি শীষ রয়েছে এবং প্রতিটি শীষে ১৫৯-২০০ টি ধান আছে। ধানগুলো আকারে সরু, ছোট আর হালকা সুগন্ধিযুক্ত । আব্দুরে রহিমের ধানের গুনগত মান লক্ষ্য করে এলাকার কৃষকরা ধানটি সর্ম্পকে ইতিমধ্যেই বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষক আব্দুর রহিম জানান তার এ ধানটি  বোরো ও আমন উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়। তিনি আমনে ফলন পেয়েছেন গড়ে ৪.০ টন/হেঃ এবং বোরোতে ফলন গড়ে ৫.২ টন/হেঃ।

 

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আবুল কাশেম বলেন, আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে এ ধানটি নিয়ে কাজ করছেন। আমি নিজেও তার মাঠ পরিদশন করেছি।ধানটির ফলন চমৎকার এবং খেতেও সুস্বাদু। এ জাতের ধান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোলাও বা বিরিয়ানির চাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

 

কৃষক আবদুর রহিম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিগত চার বৎসর ধরে বোরা ও আমন উভয় মৌসুমেই ধানটি আবাদ করে তা বীজ ধান হিসেবে সংরক্ষন করছি। সরকার যদি এ ধানের বীজ পরীক্ষা করে আমাকে জাত হিসেবে বিক্রির অনুমতি প্রদান করে তবে জাতটি অসংখ্য কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে পারবে। আর কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

 

উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদার নির্দেশনায় ইতিমধেই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে তার ফলাফল দেখার জন্য কৃষকের মাঠে প্রদশর্নী স্থাপন করেছে।