কাস্তে হাতে নিয়ে ধান কাটলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ। রবিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আগাম রোপা আমন ধান নমুনা ফসল কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ধান কেটে এর শুভ উদ্বোধন করেন।
ঐদিন বিকালে উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কৃষক দিনোবন্ধু রায়ের ময়না হাইব্রিড জাতের আগাম রোপা আমন ধান ক্ষেতে নমুনা ফসল কর্তন অনুষ্ঠান করা হয়। ফলন বাম্পার হয়েছে বলে এ কৃষক জানান। বিঘায় হয়েছে ১৪ মন ধান। কৃষক দিনোবন্ধু জানান- একটা সময় এসময় কাজ ছিল না। তবে আগাম জাতের ধানের কারণে কৃষি শ্রমিকরা যেমন কাজ পেয়েছে অন্যদিকে আগাম ধান কর্তন করে এ জমিগুলোতে আমরা আগাম আলু চাষ করতে পারি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়- ময়না (হাইব্রিড) জাতটি আগাম। কৃষকরা আগাম আলু চাষের জন্য এ জাতটি চাষ করে। এ জাতের রোগ বালাই কম। কীটনাশক ও সার কম প্রয়োগ করলে হয়। আগে দেখা যেত, এই সময়ে উত্তরবঙ্গে কৃষি কাজের শ্রমিকরা মাঠে ফসল না থাকায় কাজের অভাবে ঘরে বসে থাকতো কিন্তু কৃষি সম্প্রসরাণ অধিদপ্তর উদ্বুদ্ধকরণ করে চাষীদের আগাম জাতের আমন ধানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে। ফলে চাষীদের আগের মতো এ সময়ে কাজের অভাবে ঘরে বসে থাকতে হয় না। আগাম আমন ধান কর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক আইসিটি ও পরিকল্পনা উইং মোহাম্মদ আলী, নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তুশার কান্তি রায় প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- এ বছর উপজেলায় আমন ধান রোপন করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮ শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪ হাজার মে. টন ধান।