Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd সেপ্টেম্বর ২০২০

রাঙ্গামাটিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কৃষি উপকরণ বিতরণ ও কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2020-09-03

 

কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট, রাঙ্গামাটি এর আয়োজনে সম্প্রতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বরকল ও নানিয়ারচর উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় মহালছড়ি উপজেলায় তিন ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় এবং অংশগ্রহনকারীদের মাঝে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসব প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে বসতভিটায় সবজি চাষ পদ্ধতি, পার্বত্য এলাকায় মিশ্র ফল বাগান স্থাপন ও বিভিন্ন পরিচর্যা এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন পদ্ধতি। গত ২৯ আগস্ট/২০২০ তারিখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় মহালছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত কৃষক প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট, রাঙ্গামাটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ তপন কুমার পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট, রাঙ্গামাটির মুখ্য প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মো: আল মামুন এবং মহালছড়ি উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের সকল মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা আজ ঝুকির মধ্যে রয়েছ্।ে এ ঝুকি মোকাবেলায় প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিক, লাগসই এবং পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির অন্তর্ভূক্তি এবং সফল বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। আর আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি কৃষকের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের কৃষি উৎপাদন কাংখিত মাত্রায় বাড়বে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান বলেন দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি উৎপাদন বহুগুনে বাড়াতে কৃষিতে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি রাসায়নিক বালাইনাশকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর। তাই কৃষিতে রাসায়নিক বালাইনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়াতে হবে। নিম, মেহগনি, তামাক ইত্যাদি উদ্ভিদ খেকে খুব সহজে এবং কম খরচে পরিবেশবান্ধব কার্যকর বালাইনাশক তৈরি করা যায়। তিনি সকলকে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে আরো উদ্যোগী এবং সক্রিয় হওয়ার আহব্বান জানান। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার সবজি বীজ, ফেরোমন লিউর, প্লাষ্টিক বয়াম, ফলদ বৃক্ষের চারা ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। এ সকল প্রশিক্ষণে ৫৬ জন কৃষাণী এবং ৩৪ জন কৃষকসহ সর্বমোট ৯০ জন অংশগ্রহন করেন।