কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ডিএই ফরিদপুরের প্রশিক্ষণ হলে ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি’ বিষয়ক দুই দিন ব্যাপী কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের সদস্যদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এ করোনাকালীন সময়ে কৃষি উৎপাদনের ধারাকে অব্যহত রাখার জন্য যা যা করা দরকার সে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃষকের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি যেখানে যে বক্তব্যেই দেন, সেখানে কৃষির কথা আছেই। পরিচালক বলেন, তথ্যই জ্ঞান। যার নিকট যত বেশী তথ্য রয়েছে কাজ করার ক্ষমতা তার তত বেশী। এআইসিসির সদস্যগণ সমাজের প্রগতিশীল অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কৃষির যেসব প্রযুক্তিগুলি পরিবর্তন হচ্ছে সেগুলি তাৎক্ষনিকভাবে এআইএস টিউব, এআইএস ওয়বসাইট, কৃষি বাতায়ন বা অফিসিয়াল ফেসবুকের মাধ্যমে এআইসিসিগুলি গ্রহণ করে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকগণ উপকৃত হবেন। কৃষি তথ্য যোগাযোগ কেন্দ্রগুলি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কৃষি তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারে ভূমিকা রাখায় উপস্থিত প্রশিক্ষানার্থী সদস্যদের তিনি ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে এআইসিসিগুলি যেন আরো ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে সে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড.মোঃ হযরত আলী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কৃষির উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। প্রযুক্তির সুফল পেতে প্রথমেই প্রযুক্তি গ্রহণে এগিয়ে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে দিন দিন কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ভূর্তুকীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে উপস্থিত এআইসিসি’র সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। কৃষি তথ্য সার্ভিস আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনার আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনির সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ডিএই ফরিদপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ আশুতোষ কুমার বিশ্বাস এবং প্রকল্পের মনিটরিং ও ইভালুয়েশন অফিসার কৃষিবিদ তাপস কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠান শেষে পরিচালক মহোদয় ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার এআইসিসিদের মাঝে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড বিতরণ করেন। দুই দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার ১৪টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের ৩০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।