এবার সারাদেশে একযোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ১৬ অক্টোবর বরিশালের জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না। এসব জায়গায় সবজি, ফল-মূল লাগিয়ে খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। যখন করেনাভাইরাস বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে, তখন থেকেই আমরা চাষে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষি আজ ডিজিটালাইসড। মাটি পরীক্ষা, সুষম সার ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় তথ্য এখন ঘরে বসেই পাওয়া যায়।
কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব জনাব মেজবাহুল ইসলাম।
এসময় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক (উপ-সচিব) মো. শহীদুল ইসলাম, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাওফিকুল আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষৎ।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএডিসি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।