Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পেটিটিভনেস প্রজেক্ট (SACP) অভ্যন্তরীণ কর্মশালা


প্রকাশন তারিখ : 2024-09-13

গাজীপুরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার ট্রেনিং একাডেমিতে ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পেটিটিভনেস প্রজেক্ট (SACP) অভ্যন্তরীণ কর্মশালা। "সমন্বয় বৃদ্ধি: একটি কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা" শীর্ষক এই কর্মশালাটি কৃষি খাতের বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ এবং অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয় ও যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত হয়েছে।
প্রথম দিনটি ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন দল গঠনের মাধ্যমে সমন্বয়ের বুনিয়াদি প্রতিষ্ঠার দিন। অনুষ্ঠানে ২০০-এর বেশি কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চারটি বাস্তবায়ন সংস্থা—ডিএই (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর), ডিএএম (কৃষি বিপণন অধিদপ্তর), বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) এবং বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট)—এর প্রতিনিধি এবং FAO ও GAIN এর সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন। উদ্বোধনী দিনে মূল কার্যক্রমের মধ্যে ছিল উদ্বোধনী বক্তব্য, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দল গঠন কার্যক্রম, এবং প্রকল্পের বিভিন্ন উপাদানের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা।
দ্বিতীয় দিনে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের  সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া সহ ডিএই, ডিএএম, বিএডিসি এবং বারি-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা সেশনের ফলাফল নিয়ে IFAD তত্ত্বাবধান মিশনের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করেন। এই সেশনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং কীভাবে প্রতিটি উপাদান অন্য উপাদানের সাথে কার্যকরীভাবে যুক্ত হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার প্রধান বিষয়গুলো ছিল উপাদানগুলো মধ্যে সমন্বয় কীভাবে আরও মজবুত এবং স্থিতিশীল   করা যায়, পরিকল্পনা সেশনের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জগুলোর বিশ্লেষণ, এবং IFAD  সুপারভিশন মিশনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন।
দ্বিতীয় দিনের দুপুরের পর শুরু হয় ব্রেকআউট সেশন, যেখানে প্রতিটি উপাদানের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং অন্যান্য উপাদানের সাথে এর সংযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে প্রথম উপাদান, যা উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে, এর কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে ডিএই-এর সিনিয়র মনিটরিং অফিসার এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করেন। এছাড়াও ডিএএম-এর প্রতিনিধিরা উপাদান-২, যা বাজার সংযোগ ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে, তার স্ট্র্যাটেজিক পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এই কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য হলো SACP-এর বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধি করে প্রকল্পের সার্বিক সফলতা নিশ্চিত করা। কর্মশালায় প্রকল্পের অর্জিত সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং অংশগ্রহণকারীরা সক্রিয়ভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ধরনের আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক কর্মশালা প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণে এবং দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এই প্রকল্পের কার্যক্রমকে আরও সুপরিকল্পিত বাস্তবায়নের দিকে ধাবিত করবে।