চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কৃষি উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার আলো দেখাচ্ছে সর্জান প্রযুক্তির চাষাবাদ। প্রযুক্তিটি নিয়ে কৃষকের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। আনোয়ার উপজেলার অসংখ্য খালে প্রতিদিন জোয়ার ভাটা হয়। এতে খাল পাড়ের প্রচুর জায়গায় নিয়মিত জলমগ্নতার সৃষ্টি হয়। জলবদ্ধতার কারনে জমিগুলোতে সেভাবে কোন ফসলের চাষাবাদ করা যায় না।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ ধরনের জমির পরিমান আনুমানিক পাঁচ হাজার হেক্টর। এসব নিচু জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অনেকদিন ধরেই আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস চেষ্টা করে এসেছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিস ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত উপজেলার বটতলী ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে ষাট শতক জমিতে সর্জান পদ্ধতির চাষাবাদ প্রদর্শনী স্থাপন করে। সর্জান প্রদর্শনীগুলো ইতিমধ্যেই এলাকায় বেশ সাড়া তৈরী করেছে। প্রদর্শনীর ফলাফল দেখে এলাকার বিভিন্ন কৃষক আগ্রহী হয়ে আরও প্রায় এক হেক্টর জমিকে সর্জান পদ্ধতির চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, আনোয়ারা উপজেলাতে সর্জান পদ্ধতির চাষাবাদ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়িত নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় আনোয়ারা উপজেলায় প্রথমবারের মত সর্জান পদ্ধতি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির প্রদর্শনীর ফলাফল এখন পর্যন্ত ইতিবাচক। কৃষকের আগ্রহ বিবেচনা করে পরবর্তীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় আনোয়ারা উপজেলায় সর্জান পদ্ধতি ব্যাপক পরিসরে সম্প্রসারণ করা হবে।