মোহনপুর উপজেলার অধিকাংশ উঁচু ও নিচু মানের জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে কাদায় বেশি রসুন করা হয়েছে। কাদায় চাষকৃত জমিতে আগাম রসুন চাষের কারণে গাছ কিছুটা বড় হলে শুকনা জমিতে চাষকৃত রসুনগাছ বেড়েছে কম । উপজেলার মগরাবিলে কাদায় সর্বাধিক রসুন চাষ করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরিচর্যাসহ সেচকাজ শেষ করেছে কৃষকরা। বাজারে সামান্য পরিমাণ নতুন রসুন উঠতে শুরু হলেও মাঘ মাসের শেষ নাগাদ পুরো দমে রসুন উঠবে ।
কৃষক মনসুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এক বিঘা জমিতে কাদায় রসুন চাষ করেছি। সরকারি প্রণোদনা পেয়েছি যা রসুন ক্ষেতে ব্যবহার করেছি। এই পদ্ধতিতে রসুন চাষে খরচ অনেকটায় কম হয়। ফলনও হয় বেশি। আমাদের মাঠেররসুন গাছ এখন পর্যন্ত ভাল আছে। সেচসহ সার প্রয়োগ করছি। আশা করি রসুনের ফলন ভাল হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা: রহিমা খাতুন বলেন, বিগত বছরগুলোয় এখানকার কৃষকরা রসুন চাষে আগ্রহী ছিল না। তবে এবার আগের তুলনায় অধিক পরিমাণ জমিতে রসুন চাষ করেছে। বিনা চাষে রসুন চাষ পদ্ধতির কারণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা। গত বছর রসুন চাষের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫০হেক্টর । চলতি মৌসুমে রসুন চাষের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ১৮০ হেক্টর জমি। মোহনপুরে চাষকৃত রসুনের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভাল আছে। কোনো মাঠে রসুন ক্ষেতে রোগবালায়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। এজন্য ভাল ফলন হবে বলে ধারনা করেন তিনি।