মাননীয় কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেছেন, যত নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি আসবে দেশের উন্নয়নে তা অতি দ্রুত গ্রহণ করে মাঠে বাস্তব প্রয়োগ করতে হবে। কৃষি সচিব গত ২১ আগস্ট বিকেল ৪ টায় রাজবাড়ি জেলা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ২য় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প (এসসিডিপি)’র অধীনে নির্মিত শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের রায়পুর কৃষি পণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র উদ্বোধন ও চাষি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কৃষি সচিব বলেন, পরিকল্পিত ও পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়ার ফলে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, ২য় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, যার সুফল চাষিরা ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে। কৃষি সচিব বলেন, শাক সবজি বেশি খেয়ে ভাত কম খাওয়া যায় কিনা ভেবে দেখা দরকার। তিনি বলেন, হাইব্রিড বা উফশী জাতের পাশাপাশি স্থানীয় যে সব ধানের জাত রয়েছে তা অল্প অল্প করে চাষাবাদ করে সংরক্ষণ করতে হবে। কৃষি সচিব আগাম ফসল উৎপাদন করে ভালো দাম পাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বিষমুক্ত ফল ও সবজি উৎপাদনে চাষি ভাইদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ২য় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক খামারবাড়ি ঢাকা কৃষিবিদ গোলাম মারুফ বলেন, কৃষি পণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্থানীয় চাষিরা তাদের উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজির ন্যায্যমূল্য পাবে, নিজে বিষমুক্ত সবজি খাবে,অন্যদেরও তা সরবরাহ করবে। তিনি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে সবজি রপ্তানির কথা উল্লেখ করেন। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুর কৃষিবিদ খসরু মিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত আবাদি জমি কমলেও লোকসংখ্যা বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রচেষ্টায় দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কাজ হলো উৎপাদন খরচ কমিয়ে কিভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায়। অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, এ অঞ্চলে দিন দিন ফুলের ও গমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে রাজবাড়ি জেলা প্রশাসক বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় রাজবাড়ি জেলায় ড্রাগন ফলের চাষ বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ড্রাগন ফলের চাষ জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। রায়পুর এলাকায় ৬১ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।
মাননীয় কৃষি সচিব সকাল ১০ টায় রাজবাড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হর্টিকালচার সেন্টার ও ভবানিপুর গ্রামের চাষি নাসির শহীদ-এর ড্রাগন ফল বাগান পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় রাজবাড়ি জেলার কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক রাজবাড়ি, অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদপুর অঞ্চলসহ কৃষি তথ্য সার্ভিস, খুলনার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।