রবি/২০২০-২১ মৌসুমের পুনর্বাসন কর্মসুচীর আওতায় বোরো, গম, সরিষা, ভুট্টা, টমেটো, পিয়াজ, মরিচ, মসুর ও সুর্যমুখীর ফসলের আবাদের জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রনোদনার বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৯ নভেম্বর/২০২০ বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: আলী রেজা, আদমদিঘী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ দিপ্তী রাণী রায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, আদমদিঘী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী। তিনি বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষি পূর্নবাসন কর্মসুচীর আওতায় চলতি বছরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রবি মৌসুমে বোরো, গম, সরিষা, ভুট্টা, টমেটো, পিয়াজ, মরিচ, মসুর ও সুর্যমুখীর ফসলের আবাদ বৃদ্ধি কল্পে ১ বিঘা জমিতে আবাদের জন্য বীজ ও রাসায়নিক সার হিসেবে ডিএপি ও এমওপি সার প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে। উক্ত প্রনোদনার আওতায় আদমদিঘী উপজেলায় বোরো আবাদের জন্য ৪২০ জন, গম আবাদের জন্য ১০০ জন, সরিষা আবাদের জন্য ১৪৫০ জন, ভুট্টা আবাদের জন্য ৩০০ জন, টমেটো আবাদের জন্য ২০০ জন, মরিচ আবাদের জন্য ২০০ জন, পিয়াজ আবাদের জন্য ৪০ জন, মসুর আবাদের জন্য ৫০ জন এবং সুর্যমুখী আবাদের জন্য ৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তন্মধ্যে এই কর্মসুচীর আওতায় আজ ১৪৫০ জন কৃষককে সরিয়া আবাদের জন্য ১ কেজি বীজ, ডিএপি সার ১০ কেজি এবং এমওপি সার ১০ কেজি হারে প্রদান করা হয়। এই সকল সরকারী প্রনোদনার সহায়তা কাজে লাগিয়ে ধান. গম, ভুট্টা, ডাল, তেল ও পিয়াজ ফসল বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার জন্য প্রনোদনা গ্রহনকারী কৃষকদের অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান দেশের কৃষি বান্ধব সরকার কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা প্রদান করে চলেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ পদক্ষেপের কারণে কৃষকদের আর সারের জন্য হাঁহাকার করতে হয়না। ফলে সময়মত ও স্বল্প মুল্যে কৃষক বীজ, সার ও কীটনাশক পাওয়া এবং কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তাই দেশের এই খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটাতে এবং বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেল ও মসলা ফসলে আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ বন্যার পরে স্বল্প মেয়াদী ডাল, তেল ও মসলা ফসল দ্রæত চাষ করা সম্ভব। তাই বর্তমান সরকারের এই প্রনোদনার সহায়তা কাজে লাগিয়ে ধান, গম, ভুট্টা, ডাল ও তেল ফসলের চাষ বৃদ্ধির আহবান জানান। পরিশেষে তিনি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে রবি ফসল উৎপাদন ও কৃষি উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আদমদিঘী উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত¡রে অনুষ্ঠিত প্রনোদনা বিতরণে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজশাহী কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০০ জন প্রনোদনা সহায়তা গ্রহনকারী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা ডিপ্লোমা কৃষিবিদ মো: সাইফুল আলম।