সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি’র সহায়তায় জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে ১৯ অক্টোবর এমএমআই কমিউনিটি ওয়েবিনার সিরিজের সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এমএমআই প্রকল্প ইতোমধ্যে এর উদ্ভাবনী কর্মপন্থা কৃষক সংগঠন, সম্প্রসারণ এজেন্সি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। প্রকল্পটি এফএও বাংলাদেশ, ডিএই, বিএডিসি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয়ে বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া এমএমআই কৃষকদের মাঝেও ছড়িয়েছে। তারা প্রযুক্তির আলোয় এখন আলোকিত। সংগঠন পর্যায়ে সাধারণ সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলায় কৃষকদের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছানো সহজ হচ্ছে। প্রধান অতিথি কৃষিযান্ত্রিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে কৃষক সংগঠনভিত্তিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণ করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের প্রতিনিবন্ধিত এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক কৃষক সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা মোতাবেক ঋণ বিতরণের আহবান জানান।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল জব্বার সিকদার এবং এফএও বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার ড. তায়ানরাজ গুরুং।
আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. ইফতিখার মোস্তফা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল আলম, লাইভস্টক এন্ড ডেয়রি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এলডিডিপি) চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. গোলাম রব্বানি, ঢাকা ব্রিটিশ হাইকমিশনের লাইভলিহুড এডভাইজার এবিএম ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শহীদ রেজা এবং এফএও ইনভেস্টমেন্ট সেন্টারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জিএএফএসপি সহায়তায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এফএও এমএমআই প্রকল্পের পরামর্শ ও নির্দেশনায় কৃষক সংগঠন এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ক্রমাগত দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। সে ধারাবাহিকতার ফসল হলো কমিউনিটি ওয়েবিনার সিরিজ তথা প্রশিক্ষণের আয়োজন। মোট ১৪টি বিষয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। অংশীদার কৃষক সংগঠনগুলো ১৫টি ভ্যালুচেইনে বিনিয়োগের জন্য ঠিক করেছে এবং রুরাল ইনভেস্ট টুল ব্যবহার করে ব্যবসা পরিকল্পনা দাঁড় করিয়েছে। যে সকল বিষয় ওয়েবিনারে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে তা হলো- বীজগ্রাম, নিরাপদ মাংস উৎপাদন, মাছ চাষ, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ, সোনালী মুরগী, হাঁসপালন, নিরাপদ সবজি উৎপাদন, লাভজনক শস্য বিন্যাস, মিশ্র উদ্যান ফসল, ঔষধি বৃক্ষ, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, টেকসই কৃষক সংগঠন এবং ভার্চুয়াল কল সেন্টার।