সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার-এর উদ্যোগে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিএআরসি, বিএআরআই, ব্রি, এসআরডিআই, বিনা, এফএও, সিরডাপ, সিমিট ও ইরি-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠিান (সার্ক)-এর ৩১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়। জাতিসংঘ এ বছরকে আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বর্ষ ২০১৫ হিসেবে ঘোষণা করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। মন্ত্রী ’ক্ষুধা মুক্ত সার্ক অঞ্চল’ গঠনে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান । তিনি আরও উল্লেখ করেন, কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, কৃষক সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন । দারিদ্রতা দূরীকরণে কৃষি হচ্ছে অন্যতম হাতিয়ার । মন্ত্রী সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন কাজের ভূয়সী প্রসংশা করে নতুন নতুন গবেষণা, ধ্যান-ধারনা, সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ঊপর গুরুত্বারোপ করেন । স্মার্ট এগ্রিকালচার, জিও ইনফরমেশান, মহিষের জাত সম্প্রসারণ, ল্যান্ড ডিগ্রেশান, সেরিকালচার, জেনটিক রিসোর্স সংরক্ষণে সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের উদ্যোগের কথা এ প্রসঙ্গে বলেন ।
অনুষ্ঠানে Achieving Zero Hunger Targets in SAARC Countries বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতীয় সবুজ বিপ্লবের জনক অধ্যাপক এম এস সোমিনাথান। উপস্থাপনায় তিনি বলেন, আমাদের কৃষির জীব বৈচিত্র, ঔষধি গাছ পালা, শস্যজাত উদ্ভিদ সংরক্ষণ করতে হবে। লবণাক্ত এলাকা এবং সমুদ্রে ফার্মিং এবং পাহাড়ী , খরা প্রবণ এলাকার এর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন । সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ম্যানগ্রোভ বনায়ন তৈরীর কথা বলেন। সবুজ বিপ্লবের জন্য দরকার প্রযুক্তি, সেবা, সরকারি নীতিমালা এবং কৃষকদের উৎসাহ প্রদাণ । গ্রীণ রেভুলেশান হতে এভার গ্রীণ রেভুলেশাণের দিকে যেতে হবে। আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ’ক্ষুধা মুক্ত সার্ক অঞ্চল অর্জন সম্ভব বলে অধ্যাপক এম এস সোমিনাথান আশাবাদ ব্যক্ত করেন । বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন Achieving SDG in Bangladesh বিষয়ে পেপার উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা দিবস ২০১৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ এবং অংশ গ্রহণকারিদের রচনাগুলো নিয়ে Soil and Soul নামে তিনটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করা হয় । আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক ও বিমসটেক-এর মহাপরিচালক এস এম আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালক ড. এস এম বখতিয়ার।
একই দিন সকাল ১০:০০ টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা দিবস ২০১৫ উপলক্ষ্যে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সেমিনার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডল। সেমিনারে কারিগরী পর্ব পরিচালনা করেন ইরি, সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর ড. উমা শংকর সিংও এসআরডিআই-এর পরিচালক খোন্দকার মঈনউদ্দিন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বৈজ্ঞানিকবৃন্দ, সম্প্রসারণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।