কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুল মুঈদ বলেছেন, কৃষির সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উৎপাদন অব্যহত রাখতে হবে। কৃষিই অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম উপায়। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কৃষকের পাশে থেকে কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে খুলনার গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত ‘অগ্রগতি,পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কৃষি এখন আর নিরব বিপ্লব নয়, এটা এখন সরব বিপ্লব। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘কৃষি আধুনিকায়ন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন এর দায়িত্ব এখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, গ্রামীন অর্থনীতি উন্নত করার মাধ্যমে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে হবে। ডিএইকে একটি ঘুমন্ত বাঘ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি সফলভাবে সম্পন্ন করার সকল সক্ষমতা এ অধিদপ্তরের রয়েছে। ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএই ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রিফাতুল হোসাইন, ডিএই বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আফতাব উদ্দিন, কৃষি প্রশিক্ষায়তন দৌলতপুর এর অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস ও আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ব্রক্ষ্ম। পরবর্তিতে কারিগরী সেশনে সভাপতিত্ব করেন ডিএই ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রিফাতুল হোসাইন। এর আগে মহাপরিচালক সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো , খুলনার ডুমুরিয়ায় অফসিজন তরমুজ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজুবাদাম প্রদশর্নী ও গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত পরিচালক খুলনা অঞ্চলের অফিস ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।