কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতবছর নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি। তবে গত বছরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাজারের সাথে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ বুধবার সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি খুলনা জেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ এ সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর লক্ষ্য। তাই তিনি কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলেই অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই অভূতপূর্ব সাফল্য সারা পৃথিবীর কাছে আজ এক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে।
খুলনার কৃষিতে বিপ্লব আনা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষির আমূল পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত জমিতে চাষের উপযোগী ফসলের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো চাষের মাধ্যমে লবণাক্ত জমিতে অনেক সাফল্য এসেছে। আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত থাকবে যাতে করে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যায়।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো: ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, গত বছর খুলনা জেলাতে ডিজিটালি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল। চলতি বছরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এসময় তিনি কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে কৃষকের হাতে ধান ক্রয়ের প্রতিকী মূল্য তুলে দেন।