কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান ২৯ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে বন্যার পরিস্থিতি ও কৃষি পূণর্বাসন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি উপস্থিত কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের যাতে আমন আবাদে চারার অভাব না হয় সেজন্য ভাসমান বীজতলা ও বাড়ির আঙ্গিনায় ট্রে’তে বীজতলা তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাদের আউশ ফসল ও শাকসব্জি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিশেষ করে যাদের মাচার ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রনোদনা দিয়ে দ্রুত শাকসব্জি উৎপাদন করে বাজারে আনতে পারলে বন্যার ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন আউশ চাষি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা করে প্রত্যেককে বন্যা পরবর্তী যে ফসল আবাদ করবে তাদেরকে একবিঘা জমি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ বীজ প্রণোদনা দেওয়া হবে। পরে কৃষি সচিব বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ভাংগা উপকেন্দ্রে ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ধীন সকল সংস্থার অঞ্চল প রধানগণের সাথে বন্যা ও বন্যাত্তোর কৃষি পূণর্বাসন এবং আমন ও বোরো মৌসুমের কৃষি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বলেন, সরকার খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এজন্য ফসল উৎপাদনের গতিকে চলমান রাখতে হবে। তিনি বলেন, বন্যার ফলে বোনা আমন ও আউশ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পরবর্তী রবি মৌসুমে প্রণোদনা প্রদান করা হবে। উচ্চ ফলনশীল বীজ দ্রুত কৃষকের নিকট পৌছাতে গবেষণা, বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মধ্যে দীর্ঘসূত্রিতা কমানো হবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃশাহজাহান কবীর কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট,ভাঙ্গার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তুষার চক্রবর্তীর সঞ্চলনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য ও ফরিদপুর অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ও কৃষির চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রিফাতুল হোসাইন। অনুষ্ঠানে ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ধীন সকল সংস্থার অঞ্চল প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।