কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ ৪ নভেম্বর সকালে মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারে ফরিদপুর অঞ্চলের চলমান কৃষি কার্যক্রম এবং বন্যা পরবর্তী কৃষি পূর্ণবাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মকান্ড বাস্তবায়নের কৌশল বিষয়ে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে পরিকল্পনামাফিক কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা করে কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরিকল্পিত কৃষির মাধ্যমে আগামীর কৃষিতে বৈচিত্র আনতে হবে। বোরো উৎপাদনে হাইব্রিড আবাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সীমিত জমিতে বোরো উৎপাদন বাড়িয়ে বাকি জমি পেঁয়াজ আবাদের আওতায় আনতে পারলে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। বন্যা পরবর্তী কৃষি প্রণোদনায় গম, মরিচ, সূর্যমূখী, চিনাবাদাম, মুসুর, খেসারী এবং টমেটোর উৎপাদন বাড়াতে উপস্থিত কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রিফাতুল হোসাইন, খুলানার দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস এবং ফরিদপুর ও খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মহাপরিচালক গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজার জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলার ৩টি উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সুপ্রিম সীডের দেশব্যাপী বিনামূল্যে ৪০ মে.টন হীরা-১২ জাতের হাইব্রিড বীজ বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।