Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ এপ্রিল ২০১৬

সিলেটের কৃষি ভাবনা দিবানিশি এর মাধ্যমে চাষের আওতায় আসছে অনাবাদি জমি


প্রকাশন তারিখ : 2016-03-30

সিলেট সার্কিট হাউস এসিলেট বিভাগীয় কৃষি উন্নয়ন কোর কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জনাব জামাল উদ্দিন আহমদ, কমিশনার, সিলেট;কৃষিবিদ জনাব কৃষ্ণ চন্দ্র হোড়, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট; জনাব এমডি আল আমিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার; জনাব জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক, সিলেটসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ওউক্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

“সিলেটের কৃষি, ভাবনা দিবানিশি” এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের অনাবাদি প্রায় ২৫ হাজার ১৯৬ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। কমিশনার মহোদয় সভায় জানান, সিলেট বিভাগের প্রতিটি উপজেলা থেকে ১টি করে ইউনিয়ন নির্বাচন করে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এসব জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সিলেট অঞ্চলে প্রচুর অনাবাদি জমি রয়েছে।গত ২০১৫ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক কৃষি মন্ত্রনালয় কতৃক বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনটি কোর কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট কোর কমিটির মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জনাব কৃষ্ণ চন্দ্র হোড় বলেন, সিলেট বিভাগে মোট ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১০৩ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। এসব জমির মধ্যে রবি মৌসুমে পতিত থাকে ১ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর, খরিপ-১ মৌসুমে জমি পতিত থাকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ হেক্টর, খরিপ-২ মৌসুমে ৭১ হাজার ৫০১ হেক্টর জমি পতিত থাকে। এসব জমি পতিত থাকার পিছনে নানা কারণ নির্ণয় ও সনাক্ত করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো সেচের পানির অভাব, পাথর ও গ্যাসের কারণে সেচ যন্ত্র স্থাপনে সমস্যা, পানির স্তর গভীরে থাকা, বড় কৃষকদের চাষাবাদে অনীহা, জমির মালিক বিদেশে থাকা, জমি বর্গা দিতে অনীহা ও শ্রমিক সংকট। এসব পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।