পানের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির ওপর দিনব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণ ১৫ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাসমান কৃষির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক এবং বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া।
গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান মিলি, স্থানীয় ইউপি. সদস্য মো. রবিন হোসেন হাওলাদার, কৃষক খলিল সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক এবং সংশ্লিষ্ট উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস হোসেন কাজী অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী পানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর তা অবশ্যই যেন নিরাপদ উপায়ে হয়। সে সাথে দরকার গুণগত মান বজায় রাখা। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
কৃষক খলিল সিকদার জানান, তিনি ইতোমধ্যে পানবরজে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে বেশ উপকার পেয়েছেন। তার দেখাদেখি আশেপাশের চাষিরা রাসায়নিকের পরিবর্তে এ ধরনের নিরাপদ বালাইনাশক প্রয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রশিক্ষণে ৩০ জন পানচাষি অংশগ্রহণ করেন।