বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডালফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচির উদ্যোগে ৫ জুলাই পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলাধীন আটঘর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমড়াচাষিদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম।তিনি বলেন, বরিশালে নামকরা পেয়ারা আর আমড়া।ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ এ ফল আবাদে প্রয়োজন নিরাপদ উপায়ে চাষাবাদ। এরই অংশ হিসেবে পোকা দমনে চাই জৈব কীটনাশক ব্যবহার। এতে পোকাও মরবে, ফল থাকবে বিশুদ্ধ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়ালিউর রহমান হিরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া এবং পিএসও ড. আলিমুর রহমান। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজিউদ্দিন, এসও মো. মাহবুবুর রহমান, শর্মিলা দাস সেতু এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান শেষে ৭ জন আমড়া চাষির প্রত্যেককে বিনামূল্যে ২০ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১০ কেজি জিপসাম সার এবং ৩.৫ লিটার বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়।