Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ অক্টোবর ২০২২

খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাহাড়ী কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে- কৃষি সচিব


প্রকাশন তারিখ : 2022-10-10


খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করতে গতানুগতিক খোরপোষ কৃষিকে বানিজ্যিক ও রপ্তানিমূখী কৃষিতে পরিনত করতে হবে। এক্ষেত্রে পাহাড়ী কৃষির অপার সম্ভাবনাকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে হবে, বললেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থনচি উপজেলার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে থানচি উপজেলার কাজুবাদাম ও কফি চাষীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ০৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে এ কথা বলেন তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো: নাসিম হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বেনজীর আলম। 
এ সময় তিনি আরো বলেন দেশে বিদেশে কফি ও কাজুবাদামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ দুটি ফসলই উচ্চমূল্যের এবং রপ্তানিযোগ্য। পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই কফি ও কাজুবাদাম চাষের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিদেশ থেকে কফি ও কাজুবাদামের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাত সংগ্রহ করে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার পাশাপাশি এ এলাকার কৃষকদের কফি ও কাজুবাদাম চাষ ও প্রক্রিজাতকরণ বিষয়ে কার্যকর প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কফি ও কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাত করার জন্য ইতিমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কৃষিকে আরো লাভজনক করার জন্য বিদ্যমান বাগানের মধ্যে বিভিন্ন সাথি ফসল যেমন- আদা, হলুদ, গোলমরিচ ইত্যাদি ফসল চাষের জন্য এবং জুমে যেসব ফসলের স্থানীয় জাত চাষ করা হয় সেগুলোর পরিবর্তে এলাকার উপযোগ উচ্চফলনশীল জাত আবাদের জন্য তিনি কৃষকদের আহ্বান জানান। আর এজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রযুক্তি ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে মর্মে তিনি জানান। পাহাড়ী মানুষ অনেক প্ররিশ্রমী। এই পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনা সম্বলিত আধুনিক কৃষিই দিতে পারে উন্নত জীবন। পাহাড়ের সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি বাস্তবমুখী প্রকল্প খুব শীগ্রই গ্রহন করা হবে মর্মে তিনি উপস্থিত কৃষকদের আশ্বস্থ করেন। অনাবাদি পাহাড়কে আবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকৃত কৃষরা যাতে সহজে ও স্বপ্ল সুদে ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ পেতে পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় আগত কৃষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এলাকার কৃষির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভার পূর্বে অতিথিবৃন্দ বান্দরবান সদর ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন কফি ও কাজুবাদামের বাগান, নার্সারী,  কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন।