Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ নভেম্বর ২০১৫

বড়াদমে আউশ ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2015-10-06

গত ৫ অক্টোবর ২০১৫ ইং তারিখ বিকাল ৩.৩০টায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বড়াদম ব্লকের দেপ্পোছড়ি গ্রামের কৃষক অমর চান চাকমার জমিতে আবাদকৃত স্থানীয় উন্নত কবরক জাতের আউশ ধানেরর (জুম) নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নমুনা শস্য কর্তনের সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ আপ্রু মার্মা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাঙ্গামাটির আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার পরিসংখ্যান বিভাগের জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী বিজয় কৃষ্ণ দে, বড়াদম ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সানজিদা রহমান, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মুকুল চাকমা সহ অন্যান্য ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নমুনা শস্য কর্তনের ফলাফলে কবরক জাতের আউশ ধানের হেক্টরপ্রতি ফলন ২.৯৬ টন (ধান) পাওয়া যায়। পরে নমুনা শস্য কর্তন উপলক্ষ্যে এক মাঠ দিবস কৃষক অমর চান চাকমার জমির নিকটবর্তী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা আপ্রুমার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বোরো ও আমন ধানের পাশাপাশি আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিতেহবে। বিশেষ করে যে সকল জাতে পোকার ও রোগের আক্রমন কম হয়ে থাকে, খরাসহিষ্ণু এবং হেক্টরপ্রতি উৎপাদন বেশি সে সকল জাতের চাষ বাড়ানোর জন্য তিনি উপস্থিত কৃষাণ-কৃষাণীদের পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আউশ ধানের বীজ বপনের পূর্বে বীজ শোধন করে বীজ বপণের পরামর্শ প্রদান করেন যাতে বীজ বাহিত রোগের আক্রমন কম হয়। এছাড়া তিনি ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ইউরিয়ার পাশাপাশি টিএসপি, এমওপি সহ অন্যান্য জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োজন মাফিক প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ফসলের পোকা-মাকড় দমনের ক্ষেত্রে সমস্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করেন যাতে কম খরচে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। বীজ ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তিনি রোগ ও পোকার আক্রমন হয়নি এমন ধান গাছ হতে পরিপুষ্ট বীজ ধান সংগ্রহ ও সঠিকভাবে সংরক্ষণের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য যে, এ বছর রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে উফশী আউশ এবং ৪৯৬ হেক্টর জমিতে স্থানীয় উন্নত জাতের আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক সমগ্র রাঙ্গামাটি জেলায় খরিফ-১ মৌসুমে ৬৩০ হেক্টর জমিতে উফশী আউশ এবং ৬৬১৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় উন্নত জাতের আউশ ধানের আবাদ হয়েছে এবং আবাদকৃত জমি হতে মোট ৯৩৯০ মেট্টিক টন আউশ ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।