Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সেচ ভবনে ‘অরিয়েন্টিং এগ্রিকালচার টুওয়ার্ড ইমপ্রুভড নিউট্রিশন অ্যান্ড ওমেন’স এম্পাওয়ারমেন্ট’ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2016-02-09

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিট এর আয়োজনে এবং ইউএসএইড ও ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) এর সহযোগিতায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর সেচ ভবনে ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে ‘অরিয়েন্টিং এগ্রিকালচার টুওয়ার্ড ইমপ্রুভড নিউট্রিশন অ্যান্ড ওমেনস এম্পাওয়ারমেন্ট’ প্রকল্পের ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কৃষিনীতি সহায়ক ইউনিট (আপসু)-এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের আবাদি জমি দিন দিন কমে আসছে এবং সামনের দিকে আরো কমবে। এজন্য আমাদেরকে টেকসই উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমাদের উৎপাদন বেড়েছে এবং উদ্বৃত্তও রয়েছে, এখন প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন করা। বাণিজ্যিক কৃষির কারনে আমাদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে অনেক বৈচিত্রতা এসেছে। যার ফলে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের হারও বাড়ছে। আমরা যে ক্যালরি সঞ্চয় করি তার বেশিরভাগই আসে ধান থেকে। তবে  ফল, সবজিসহ অন্যান্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে নারীদের অনেক বেশি সচেতনতা প্রয়োজন।

 

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা দানার শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছে, কিন্তু অন্যান্য ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। এখন আমাদের পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। আগের এক লক্ষ মেট্রিক টন চালের বিপরীতে, এখন আমরা নব্বই মেট্রিক টন গ্রহন করছি। এতে বুঝা যায় আমাদের খাদ্যোভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে এবং অন্যান্য খাদ্যোপাদান গ্রহনের প্রবনতা বাড়ছে। ক্রপ জোনিং-এর মাধ্যমে চাষাবাদে বৈচিত্রিতা আনয়ন ও সুষম খাদ্য গ্রহন করতে পারলে আমরা মেধাসম্পন্ন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবো। পুষ্টির উপাদান বাড়াতে হলে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কৃষির যে বৈচিত্রময় চাষাবাদ রয়েছে সেগুলোকে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান।

 

অনুষ্ঠানে এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিট এর গবেষণা পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. তৌফিকুল আলম সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়নের জন্য নীতি গবেষণা ও কৌশল সহায়ক কর্মসূচীর ওপর সার বক্তব্য উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ এন্ড স্ট্রেটিজি সাপোর্ট প্রোগ্রাম (পিআরএসএসপি) ও আইএফপিআরআই (ইফপ্রি)’র চীফ অব পার্টি ড. আকতার আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে দেন হেলেন কিলার ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের  মিসেস রামোনা। বক্তাগণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষতায়নে করণীয় বিষয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পভুক্ত এলাকার উপপরিচালকগণ, উপজেলার কৃষি অফিসারবৃন্দসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্রি, বারি, বারটান, বিএডিসি, আপসু ও হেলেন কিলার  ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহন করেন।