কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি অপার সম্ভবনাময়। করোনাকালীন সময়ে সরকারের কৃষি কার্যক্রম সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। সরকারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পরিকল্পনা কৃষিকে আরও আধুনিক ও অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে। সিনকোনাইজড চাষাবাদের উপর গুরুত্বারোপ করে কৃষি সচিব বলেন, বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি ১ মার্চ দুপুরে মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষি সচিব বলেন, বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ও সাব ট্রপিক্যাল হওয়ায় সারা বছরই প্রায় সব ধরনের ফল উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের সহায়তার মাধ্যমে বছরব্যাপী ফল উৎপাদন করা হলে আমাদের পুষ্টি ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে। তিনি পেঁয়াজ উৎপাদন ও কৃষক পর্যায়ে সঠিকভাবে সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কৃষিকে এগিয়ে নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. শাহাজাহান কবীর, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন ও ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় কি নোট উপস্থাপন করেন, প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, হর্টিকালচার সেন্টার মাদারীপুর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ডিএই ফরিদপুর অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, এআইএস খুলনার আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, এটিআই ফরিদপুর ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কৃষি সচিব টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজারে পুষ্পস্তাবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন এবং উপজেলাধীন কুশলী গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট আয়েজিত বারি খেসারি-৩ শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন।