পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষনা প্রতিষ্ঠানের এ.এস.এম. কামাল উদ্দিন মেমোরিয়াল হলরুমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ২(দুই) দিন ব্যাপী গবেষণা-সম্প্রসারণ কর্মশালা গত ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে সচিব মহোদয় এ কথা বলেন। তিনি ইক্ষু চাষের সম্ভাবনাময় দিককে কাজে লাগাতে এর চাষকে আরও বিস্তৃত করতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে এবং এর বীজ কৃষক পর্যায়ে সহজলভ্য করে উৎপাদনের মাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করতে বি.এ.ডি.সি কে মার্কেটিং বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান। তিনি গবেষনার মাধ্যমে চাষাবাদের কৌশল পরিবর্তন এবং নতুন নতুন চিনি সমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন করে ইক্ষু জাতীয় ফসল যেমন সুগারবিট, তাল, খেজুর ও গোলাপাতা বৃক্ষকে গবেষণার আওতায় এনে কৃষক মূখী করাসহ গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমকে জোরালো করে কৃষকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
৪ জুন হতে ৫ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২(দুই) দিন ব্যাপী কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড.মু.খলিলুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বি.এ.ডি.সি’র চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ.কে.এম দেলোয়ার হোসেন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হামিদুর রহমান।
কর্মশালায় ইক্ষু ও ইক্ষু জাতীয় ফসল সুগারবিট, খেজুর ,তাল, গোলপাতা ইত্যাদি ফসলের আবাদ কৌশল, রোগ, পোকা-মাকড় দমন, চিনি তৈরি এবং এই সমস্ত ফসলের উপজাত হতে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনিম্যাল ফিড তৈরি, মোলাসেস উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়সমূহ গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে এবং দ্রুতই চাষী পর্যায়ে পৌছিয়ে দেশের চিনি শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করে বিশ্ববাজারে টিকিয়ে রাখার পন্থা উদ্ভাবনের বিষয়টি স্থান পায়। এছাড়া বৃহত্তর রংপুরের চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ইক্ষু চাষ জোরদারকরণ, পার্বত্য এলাকার জেলা সমূহে পাহাড়ি এলাকার অব্যবহৃত ভেলিতে আখ এবং আখ জাতীয় ফসলের চাষ সম্প্রসারণ ও বান্দরবনে আখের সাথে সাথী ফসলের চাষ বিষয়টিও কর্মশালার মূল বিষয়বস্তু হয়ে উঠে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ প্রতিনিধি, জেলা প্রতিনিধিবৃন্দ, বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনষ্টিটিউটের বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগন সহ বৃহত্তর রংপুর, গাজীপুর, ঠাকুরগাঁও ও অন্যান্য জেলা হতে সম্প্রসারণবিদ ও বিজ্ঞানী গন অংশগ্রহন করেন। তাদের গবেষণা লব্দ ফলাফল গ্রহনযোগ্য হলে সুপারিশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নীতি-নির্ধারনী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে।
কর্মশালা উদ্বোধনের আগে সচিব মহোদয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ইক্ষু ফিল্ড ও মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের সাথে এতদবিষয়ে মত বিনিময় করেন। তিনি ইক্ষুর বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন এবং উপজাত হতে গুরুত্বপূর্ন দ্রব্যাদি তৈরির গবেষণা কার্যক্রমকে স্বাগত জানান।