কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, কিন্তু ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ মাঝিহারা নৌকার মত উল্টোদিকে চলেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধনমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা ডেল্টা প্লান নিয়ে কাজ করে চলেছেন।বিশ্ব অর্থনীতিবিদদের মতে মহামারী করোনার মধ্যে সারা বিশ্বে ৫টি দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। আর প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে কৃষি অবদান সবচেয়ে বেশী। তিনি ২৩ জানুয়ারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ খামারবাড়ি প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত ভূট্টার ফল আর্মি ওর্য়াম বিষয়ক প্রশিক্ষণে উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পরিচালক আরো বলেন, সুযোগ্য কৃষি মন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি জমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে যাতে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়। শিক্ষিত তরুন প্রজন্মকে কৃষি কাজে আগ্রহী করতে সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক কৃষি নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। দানা জাতীয় ফসল ভূট্টা আবাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভূট্টা সব ধরনের মাটিতে জন্মায় এবং এর ফলনও আশানুরুপ পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে এ ফসল আবাদে সমস্যা না থাকলেও বর্তমানে ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকা মারাত্মক ক্ষতি করছে। উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এ পোকার ক্ষতির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে আনতে কৃষি বিজ্ঞানীগণ কাজ করে চলেছেন। সচেতনার সাথে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্ষতিকর এ পোকার আক্রমণ এড়াতে উপস্থিত কৃষক/কৃষাণীদের প্রতি আহবান জানান। কেবি ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়,খুলনা এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করে। আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি’র সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল আমিন বলেন, ভূট্টা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দানা জাতীয় ফসল। দেশে দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গার পরই ঝিনাইদহ জেলায় ভূট্টার আবাদ বেশী হয়। বর্তমানে জেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে।ভূট্টা আবাদে প্রথমিক পর্যায়ে মাড়াই ও বিক্রয়ে সমস্যা থাকলেও বর্তমানে সে সমস্যা নেই।ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকাটি দেশে ফসলটির জন্য নতুন আপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূট্টার শুরু থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত যে কোন পর্যায়ে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। সময়মতো এ পোকা দমন করতে না পারলে আমাদের কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ঝিনাইদহের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন ও কৃষিবিদ মোঃ আলী জিন্নাহ।প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠাণে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল আমিন। প্রশিক্ষণে ঝিনাইদহ জেলার কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের ৩০ জন কৃষক/কৃষানী উপস্থিত ছিলেন। পরে পরিচালকসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সদর উপজেলাধীন গাগান্না,হলিধানী গ্রামে বোরো আবাদে সমালয় চাষাবাদ ও এআইসিসি’র কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।