Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

বান্দরবানে পাহাড়ী এলাকার উপযোগী লাভজনক শস্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2020-09-28

 

বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্রে, খাগড়াছড়ি এর আয়োজনে এবং “চর, উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ী এলাকার উপযোগী লাভজনক শস্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ” কর্মসূচীর আওতায় দিনব্যাপী ইনসেপশন কর্মশালা বান্দরবানের বালাঘাটা হর্টিকালচার সেন্টারের প্রশিক্ষণ কক্ষে গত ২৬/০৯/২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বান্দরবান পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. একেএম নাজমুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: আবদুর রৌফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ি জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: মর্ত্তূজ আলী, বান্দরবানের বালাঘাটা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ি পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এবং বিনা ময়মনসিংহের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচী পরিচালক ড. মো: শহীদুল ইসলাম। 

 

বিনা খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ অং সিং হ্লা মারমার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং কর্মসূচীর বিস্তারিত কার্যক্রম ও অগ্রগতির বিষয়ে উপস্থাপনা করেন কর্মসূচী পরিচালক ড. মো: শহীদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ বলেন বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পাহাড়ী এলাকায় শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে হলে পতিত পাহাড়ী ঢাল গুলোতে উপযোগী ফসলের উন্নত জাত কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করতে হবে। এ জন্য কর্ষণের ফলে ভূমি ক্ষয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফসল নির্বাচন করতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব ড. মো: আবদুর রৌফ বলেন পরিবর্তিত আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ফসলের উপযোগী জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছে। এর মধ্যে বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রচলিত কৃষি এখন দ্রুত বানিজ্যিক কৃষিতে রুপ নিচ্ছে যা থেকে পাহাড়ী কৃষিও পিছিয়ে নেই। পাহাড়ী কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সেচের পানির জন্য ছেট ছোট পাহাড়ী ছড়ায় রাবার ড্যাম স্থাপন, ফল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপন, কৃষি গবেষণা জোরদারকরণ ইত্যাদি। পার্বত্য এলাকার উপযোগী বিভিন্ন ফসলের নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সেগুলো কার্যকরভাবে কৃষকদের মাঝে বিস্তার করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহব্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. একেএম নাজমুল হক বলেন বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের জাত সমূহ চাষাবাদ এবং প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন উদ্যান ফসল যেমন কাজু বাদাম, গোলমরিচ, কফি, রাম্বুটান ইত্যাদি চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়লেও এসব ফসলের উপযুক্ত জাত না থাকায় এগুলোর সম্প্রসারণ ব্যহত হচ্ছে। তিনি এলাকার উপযোগী এবং কৃষকদের কাছে গ্রহনযোগ্য জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কারিগরি শেসনে বিনা খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,বি,এম শফিউল আলম এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ অং সিং হ্লা মারমা যথাক্রমে কর্মসূচির চলমান কার্যক্রম এবং কর্মসূচির চলমান "Development of cropping pattern with Slopping Agricultural Land Technology(SALT) in Hill Tracts" পরীক্ষণের বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ, কৃষক ও কৃষাণী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।