কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ উচ্চ ফলনশীল সম্ভাবনাময় সবজির জাত বাছাই করে সার্কভুক্ত দেশে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন । তিনি আজ ১৪ ডিসেম্বর সোমবার সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী SAARC Vegetable Adaptive Trial বিষয়ক আঞ্চলিক মূল্যায়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেন্টারের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার । সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট নাসরিন আক্তার তাঁর বক্তৃতায় কর্মশালার উদ্দেশ্য, কার্যক্রম এবং প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেশ ভিত্তিক নির্দিষ্ট সবজির জাতটি চাষের সুপারিশ করা হবে বলে জানান । সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চাল উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, কিন্ত পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এখনো করতে পারিনি। শুধু সবজি নয়, অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিময় বাড়াতে হবে ।
কর্মশালায় বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, পাকিস্থান, শ্রীলংকা এবং দেশের উদ্যানতত্ব বিশেজ্ঞ এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ এতে অংশ নিচ্ছেন । টমেটো, বেগুন, শশা, মিষ্টি কুমড়া এবং ঢেড়শ, এ পাঁচটি সবজি ফসলের বীজ সব দেশ থেকে সংগ্রহ করে সদস্য দেশ সমূহে আবাদ করা হয় । যে জাতটি যে দেশে ভাল ফলাফল দেবে, সেটি সে দেশে আবাদের জন্য সুপারিশ করা হবে ।