পটুয়াখালী সদরের পশ্চিম শারিকখালী গ্রামের কৃষকদের নিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে ০২ সেপ্টম্বর বুধবার ‘পার্চিং উৎসব’ উদযাপন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএইর উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ধীমান মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তা, সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. আব্দুল বারেক, উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আবদুছ ছালাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘পার্চিং’ অর্থাৎ ডাল পোঁতার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ধানের ক্ষতিকর পোকা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্য জমিতে গাছের শুকনো ডাল, খুঁটি বা বাঁশের কঞ্চি পুঁতে রাখতে হয়। এতে ফিঙেসহ বিভিন্ন পাখি এসে বসে। সে সাথে অনিষ্টকারী পোকা খেয়ে ফসলকে সুরক্ষা করে। পরিবেশবান্ধব এ প্রযুক্তি ব্যবহারে বালাইনাশকের ব্যবহার হ্রাস পায়। পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন খরচও হয় সাশ্রয়।
সভাপতির বক্তৃতায় উপপরিচালক বলেন, জমিতে পার্চিং করার ফলে বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ দূষণমুক্ত হয়। ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উপকারী পোকার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি জমিতে জৈবসার হিসেবে পাখির বিষ্ঠা যোগ হয়। এতে জমির উর্বরতা বাড়ে।
উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদনে পার্চিং’র কোনো বিকল্প নেই। এ কাজের সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি উপসহকারি কৃষি অফিসারবৃন্দের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। তিনি জানান, উপজেলার প্রতি ব্লকেই পার্চিং উৎসবের কার্যক্রম চলমান থাকবে। অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।