সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মিলনায়ত,কিশোরগঞ্জ সদর,কিশোরগঞ্জে, বাংলাদেশ ধান গবেষনার আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের সহযোগিতায় ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ “হাওর অঞ্জলে বোরোধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃষিবিদ মো: আসাদুল্লাহ, পরিচালক (সরেজমিন উইং), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সভাপতিত্বে,কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন ড:মো: শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্বি) ব্রি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড: কৃষ্ণ পদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সা পরি) ব্রি। অনুষ্ঠনে হাওর এলাকায় বোরো ধানরে জাত নির্বাচন, বীজ বপন ,চারা রোপন, অন্ত পরিচর্যা -সহ সুবিধা,অসুবিধা ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে। ভুমির বন্ধুরতার কারণে কোথাও নিচু কোথাও ঢালু, কোথাও উচু তাই একই সময়ে চাষাবাদ সম্ভব হয়না। আবার সময়ের স্বল্পতা ও পরিবেশ বা আবহাওয়ার কারণে অনেক জমি আবাদের আওতায় আনাও সম্ভব হয়না। বিস্তির্ন হাওর এলাকায় কোন জমিতে রোগ ও পোকা মাকর দেখা দিলে চিহ্নিত করনের অসুবিধার কারনে জমির মালিক খোজে না পেলে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন ও দুরুহ হয়ে পড়ে। অনেক সময় ফুল আসার পূর্ব মুহূর্তে জমিতে সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পানি দেয়া সম্ভব হয়না , ফলে খরার কারনে ফলন ব্যাহত হয়। এ ছাড়াও তাপমাত্র, বৃষ্টিপাতা, আবহাওয়া ও পরিবেশগত বিভিান্ন কারনে নির্দিষ্ট সময়ে ফসল ঘরে আনা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য।
এ ক্ষেত্রে, সমলয়ে চাষ পদ্ধতির ব্যবস্থা ও সুষ্কতার জন্য খাল খনন , ড্রেনিজ ব্যবস্থা গ্রহন,সুনির্দিষ্ট কৃষকের জমি চিহ্নত করন, বিস্তির্ন হাওরে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহন এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হাওর এলাকাকে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য, সভাপতির উপন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে।
উক্ত অনুষ্ঠানের ঢাকা,কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকগন বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। কিােশারগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচারকগন আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।
উক্ত এলাকার কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা, বিএডিসি কর্মকর্তাগণ, ধান গবেষণার বৈজ্ঞানিকগণ , সাংবাদিক ও এ.আই.এস; ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।