গবেষণার তথ্য মতে প্রচলিত সেচ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে প্রায় ৩-৪ হাজার লিটার সেচ পানি প্রয়োজন। অতি মাত্রায় ভ‚গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে ভ‚গর্ভস্থ পানিস্তরের ক্রমাগত নি¤œগামিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলশ্রæতিতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি বেড়ে যাচ্ছে ভ‚গর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের সংমিশ্রন, মাটির জৈব উপাদান ও পুষ্টিমান কমে যাচ্ছে এবং মাটি হারাচ্ছে তার গুণগতমান। এসকল সমস্যাসমূহ মোকাবেলায় ভ‚গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, মাটির গুণগতমান রক্ষা, ফসলের উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন ব্যায় কমাতে বেড নালা প্রযুক্তির উপর সিআইডবিøউএম, আরডিএ-কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র যৌথ গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে বেড পদ্ধতির ফসল চাষে ৪২ ভাগ সেচ পানি সাশ্রয় হয়। ধানের ফলন ২০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধিসহ ১৮-২০ ভাগ ইউরিয়া কম লাগে। কৃষকের ভাগ্য উন্নয়ন এবং দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে, পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিস্তার এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প, সেচ ও পানি ব্যবস্থপনা কেন্দ্র, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া এর আর্থিক সহযোগীতায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কুমিল্লা এর সহযোগীতায়, ডিএই’র হল রুমে, ১৯/১১/২০২০ তারিখে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চল। সভাপতিত্ব করেন- কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ ভ‚ইয়া, উপপরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ সুরজিত চন্দ্র দত্ত, উপপরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন, উপপরিচালক, ডিএই, চাঁদপুর; ড. আমিনুল ইসলাম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ব্রি, কুমিল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেন-আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকল্প পরিচালক এবং পরিচালক (কৃষি বিজ্ঞান) পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- মো. মোছাহারুল হক, সহকারী পরিচালক (প্রোগাম), পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া।