Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ August ২০২০

নওগাঁর মহাদেবপুরে রোপা আউশ শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2020-08-27

 

 

গত ২৪শে আগষ্ট/২০২০ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর ব্লকের উত্তর আন্ধারকোটা গ্রামে ব্রিধান-৪৮ এবং পারিজা জাতের রোপা আউশ ধান কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। 

 

রোপা আউশ ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জনাব সুধেন্দ্র নাথ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জনাব মো: শাসছুল ওয়াদুদ এবং জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব মো: রবিআহ নূর আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব অরুন চন্দ্র রায়।

 

কৃষক মো: হারুন অর রশীদের জমিতে ব্রিধান-৪৮ ও পারিজা জাতের শস্য কর্তনে ২০ বর্গমিটার করে মাপের জমিতে রোপা আউশ ধান কর্তন করা হয়। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকনা ফলন ধানে ব্রিধান-৪৮  জাতের হেক্টরে ৪.৫ মেট্রিক টন এবং পারিজা জাতের হেক্টরে ৪.২ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।

 

ধান কর্তন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা হচ্ছে ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় মহাদেবপুর সবচেয়ে বেশী পরিমানে ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। বোরো ধান কর্তনের পর এবং রোপা আমন রোপনের মধ্যবর্তী সময়ে জমি পতিত না রেখে অল্প সময়ে কম খরচে রোপা আউশ ধান চাষ করে কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছে। দেশে আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকদের মাঝে আউশ প্রনোদণা সহায়তা প্রদান করে চলেছে। উপজেলায় রোপা আউশ ধানের ভাল ফলন হওয়ায় দেশের খাদ্য চাহিদা পূরুনে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েক বছর যাবৎ মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে। তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের আগামীতে ধান উৎপাদনের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, ডাল, তেল, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষের অনুরোধ জানান।

 

ধান কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তাই রোপা আউশ ধান কর্তনের মাধ্যমে ধান চাষের ভুলক্রটি সংশোধন করে নেয়া সম্ভব হয়। তিনি আরো বলেন, উপজেলায় এ বছর রোপা আউশ ধানের আবাদ হয়েছে ১৫,৬৭০ হেক্টর এবং রোগবালাই বা কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে রোপা আউশ ধানের ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হবে যা দেশের খাদ্য চাহিদা পুরুনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের সর্বাত্বক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।   

 

শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তসহ প্রায় ৫০ জন আদর্শ কৃষক উপস্থিত ছিলেন।