গত ১০-১০-২০২০ ইং তারিখে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা Welthungerhilfe এর অর্থায়নে এবং সহযোগী সংস্থা আনন্দ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন Nutrition Smart Village প্রকল্পের আওতায় ҅ Stakeholder Consultation on Promoting Nutrition Sensitive Agriculture ҆҆ শীর্ষক কর্মশালা খাগড়াছড়ি সদরে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউ খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ি জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মর্ত্তুজ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ঢাকার মহা পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: আবদুল ম্ঈুদ। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: মঞ্জুরুল হুদা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রক্তন পরিচালক কৃষিবিদ মো: নজরুল ইসলাম এবং পাহাড়ী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের সিএসও কৃষিবিদ ড. মুন্সী রাশিদ আহমেদ।
প্রকল্প ম্যানেজার কৃষিবিদ রতন কুমার দের উপস্থাপনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন Welthungerhilfe এর কর্মসূচী ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো: মামুনুর রশিদ। এ সময় তিনি প্রকল্পের বর্তমান কার্যক্রম, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের সামগ্রিক পুষ্টি পরিস্থিতি জাতীয় পুষ্টি পরিস্থিতির চেয়ে খারাপ। দারিদ্র, প্রাকৃতিক বৈরি পরিবেশ, সচেতনতার অভাব ইত্যাদি কারনে এ এলাকার মানুষ এখনও পুষ্টি সূচকে পিছিয়ে আছে। এ সমস্যা নিরসনে এ এলাকার কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে মাল্টা, কমলা, ড্রাগন, আম, লিচুর বাগান সৃজনের উপর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মো: আবদুল ম্ঈুদ বলেন বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সারের দাম কয়েক দফা কমিয়েছে ও বিভিন্ন প্রণদনা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে, যার ফলে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমান জনবান্ধব, উন্নয়নবান্ধব ও কৃষিবান্ধব সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আর এ উন্নয়নের ধারাকে আরো বেগবান করতে চাই সবার জন্য সারা বছরব্যাপী নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য। এজন্য কৃষিকে বানিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পারিবারিক কৃষিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে দেশের প্রত্যেক গ্রামে প্রণদনার মাধ্যমে পরিবারিক সব্জি বাগান স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি Nutrition Smart Village প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত সফল প্রযুক্তিসমূহ দেশের সকল এলাকায় সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার জন্য আহবান জানান। কর্মশালায় রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার উপজেলা, জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, কৃষি গবেষক, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রনি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, কৃষক কৃষাণী ও অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন। কর্মশালা শুরুর প্রারম্ভে প্রধান অতিথিসহ অন্যন্যরা দিঘীনালা উপজেলার মেরং এবং কোবাখালি এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং Nutrition Smart Village প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শণ এবং সংশ্লিষ্ট কৃষক কৃষাণীদের সাথে মতবিনিময় করেন।