কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা এর আয়োজনে গত ২ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি: ২ দিনব্যাপী কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট এর আইসিটি কক্ষে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন সিলেট অঞ্চলের এআইসিসি সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারী, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট। প্রধান অতিথি মহোদয় সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কৃষি উন্নয়নে ই-কৃষির ব্যবহার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে এআইসিসি ক্লাব রয়েছে এই ক্লাবগুলো আপনারা সার্বিক ত্বত্ত¡বধায়ন করিবেন। এই ক্লাব থেকে সব শ্রেনীর কৃষক উপকৃত হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। জীবন-জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কৃষির উন্নয়ন মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। টেকসই কৃষি উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি বলেন কৃষিতে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা আজ অনস্বীকার্য। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও গ্রামীন জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ই-কৃষির অবদান স্বীকৃত। ই-কৃষির ব্যবহার, উৎপাদনকারী কৃষকের বিভিন্ন অনুসন্ধান ব্যয় কমিয়ে সঠিক বাজার চিহ্নিত করতে সহায়তা করে, অপচয় কমায় এবং সর্বোপরি পণ্য বিক্রিতে একটি দরকষাকষির সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং ন্যায্য মূল্যে কৃষক পন্য বিক্রি করতে পারবে। এতে করে কৃষক উপকৃত হবে দেশ এগিয়ে যাবে।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহন করেন কৃষিবিদি মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট। কৃষিবিদি সুপ্রিয় পাল, উপপরিচালক বিএডিসি সিলেট। ডক্টর মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেট। কৃষিবিদি মোছা: উম্মে হাবিবা, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট। মো: মেহেদী হাসান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেট এবং কৃষিবিদি রায়হান পারভেজ রনি, উদ্যানতত্ত¡বিদ হর্টিকালচার সেন্টার সিলেট। উক্ত প্রশিক্ষণে সভাপত্বিত করেন- কৃষিবিদি মোছা: উম্মে হাবিবা, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট।