কাঁঠাল হলো ফলের রাজা তাই পুষ্টিমানেও সেরা। আবার লিচু রুপে, গুণে স্বাদে, দামে ও পুষ্টিতে অতুলনীয়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে খাদ্যশক্তি থাকে ৭৪ কিলোক্যালোরী, ১০০ গ্রাম লিচুতে খাদ্যশক্তি থাকে ৬২ কিলোক্যালোরী; ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ক্যালসিয়াম থাকে ১৩ মিলিগ্রাম, ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে ১১ মিলিগ্রাম; ১০০ গ্রাম কাঁঠালে জিংক থাকে ০.৫৯ মিলিগ্রাম, ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে ০.২৭ মিলিগ্রাম। এছাড়া কাঁঠাল ও লিচুতে সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে একজন মানুষ সুস্থ্য থাকার জন্য দৈনিক ১৫০- ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া উত্তম। অথচ আমাদের দেশে মাথপিছু ফলের উৎপাদন মাত্র ৭০-৭৫ গ্রাম। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ফলের মধ্যে এন্টি অক্্িরডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমানে থাকায় ক্যান্সারসহ নানা প্রকার জটিল রোগের প্রতিশেদক হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে ফলের বাগান বাস্তবায়ন করলে আর্থিকভাবেও সফল হওয়া যায়। দেশের সকল শ্রেনীর জনগনের সুস্বাস্থ্যের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে- ৩/৯/২০২০ তারিখে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লায়, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পেরে অর্থায়নে কাঁঠাল ও লিচুর আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক বিজ্ঞানী/ডিএই/বিএডিসি কর্মকর্তাদের কাঁঠাল ও লিচুর আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা; বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কুমিল্লা ও নোয়াখালি অঞ্চলের বিজ্ঞানীবৃন্দ; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা ও বিএডিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা। প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন- ড. মো. জিল্লুর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুর। প্রশিক্ষক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন- ড. মো. হায়দার হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, কুমিল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ড. মো. আলমগীর সিদ্দিকি, প্রকল্প পরিচালক, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উন্নীতকরণ প্রকল্প, বিএআরআই, কুমিল্লা। সভাপতিত্ব করেন- ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা। প্রশিক্ষণ সমন্বয় করেন- কৃষিবিদ মো. মহিবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন-ড. মো. আইউব হোসেন খান, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা।