পাট পাতা সবজি ও ঔষধি হিসেবে ২০৩০-এ দেশের মানুষের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
(কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব)
পাটের ব্যবহারিক উপযোগিতা, অর্থনৈতিক গুরুত্ব ইত্যাদি বিবেচনা করে পাটকে “সোনালী আঁশ” বলে অভিহিত করা হয়। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। আট থেকে দশ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাট ও এ জাতীয় আঁশ ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বাংলাদেশে ৯০ দশকে পাট হতো ১২ লক্ষ হেক্টর জমিতে। মাঝে প্রায় ৩০-৪০ বৎসর পাটের এলাকা কমতে কমতে ৪.০-৪.৫ লক্ষ হেক্টরে নেমে যায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রাকৃতিক আঁশের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধির সাথে সাথে গত ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত এর বৃদ্ধি প্রায় ৭-৮ লক্ষ হেক্টরে পৌঁছে গেছে। শুধু তাই নয় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে পূর্বের ১২ লক্ষ হেক্টর এলাকা থেকে যে পরিমাণ পাট পাওয়া যেতো এখন ৭.০-৮.০ লক্ষ হেক্টর জমি থেকেই তার চেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে তখন ১২ লক্ষ হেক্টর থেকে প্রায় ৬০-৬৫ লক্ষ বেল পাট পাওয়া যেতো আর সম্প্রতিকালে মাত্র ৭.০-৮.০ লক্ষ হেক্টর জমিতেই প্রায় ৮৪ লক্ষ বেল পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পাটের গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ২.০৪ টন। বাংলাদেশে বছরে উৎপাদিত পাট আঁশের শতকরা প্রায় ৫১ ভাগ ভারী পাট কলগুলোতে ব্যবহৃত হয়, প্রায় ৪৪ ভাগ কাঁচা পাট বিদেশে রপ্তানি হয় এবং মাত্র ৫ ভাগ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে কাজে লাগে। এ ফসল নিজেই মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে অধিক পরিমাণ উর্বর জমি খাদ্য-শস্য চাষের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, পাটের উর্বর আবাদি জমির পরিমাণ কম এবং ক্রমাগত প্রান্তিক ও অনুর্বর জমিতে পাট আবাদ স্থানান্তরিত হলেও জাতীয় গড় উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রধান কারণ পাট চাষে বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত আধুনিক প্রযুক্তি যেমন উচ্চফলনশীল জাত এবং উৎপাদন কলাকৌশলের ব্যবহার। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় শতকরা ১০-১২ ভাগ পাট চাষ এবং পাটশিল্প যেমন প্রক্রিয়াকরণ, আঁশ বাঁধাই, গুদামজাতকরণ, স্থানান্তর ও বিপণন ইত্যাদি কাজের সাথে জড়িত।
এ ছাড়াও কাঁচা পাট ও পাট জাত দ্রব্য বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস। পাট ফসল দেশের কর্মসংস্থানে, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিস্তৃত ভাবে বিরাট সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। মোট কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ১০ ভাগ পাট চাষ এবং চাষ পরবর্তী বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন- পাট চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আঁশ বাঁধাই, গুদামজাতকরণ, স্থানান্তর ও বিপণন ইত্যাদি কাজের সাথে জড়িত। বিশেষ করে পাটের আঁশ পচার পর আঁশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানো ইত্যাদি কাজে কৃষক পরিবারের মহিলা সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি দেশের মহিলা কর্মসংস্থানের এক বিরল উদাহরণ। পাটের আঁশ বিক্রির টাকা গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে, গ্রামীণ জনপদে সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও পরবর্তী রবি শস্য চাষের আর্থিক মোকাবেলা করার সাহায্য করে থাকে এই পাট চাষ।
দরি, ছালা, ব্যাগ, বস্তা, কার্পেট, কাপড় ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবহার্য্য দ্রবাদি তৈরিতে ব্যবহৃত একটি উদ্ভিদ জাত আঁশ হিসেবেই পাটের বহুল পরিচিতি। কিন্তু একথা স্পষ্টই প্রমাণ পাওয়া যায়, প্রাচীন কালে সবজি ও ওষুধ হিসেবেই প্রথম পাটের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। ভেষজ হিসেবে পাটের পাতার ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে হয়ে আসছে। পাট পাতার রস রক্ত পিত্তনাশক, বাত নিরোধক, ক্ষুধাবৃদ্ধি কারক, আমাশয়, উদারাময় ও অম্লরোগের মহৌষধ। শুকনোপাতা গুঁড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে রোগ মুক্তির জন্য এবং কাঁচা পাতা শাক হিসেবে বহু কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের একটা বিরাট অংশে পাটের দেশি ও তোষা পাটের চাষ হয়। তাছাড়াও দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে এবং মিসর, আরব ও প্যালেস্টাইনে বাগানের সবজি হিসেবে পাট চাষের প্রচলন আছে। “সেই রমনী ভাগ্যবতী, যিনি প্রত্যহ স্বামীকে গরম ভাতের সাথে ঘি, মাছের ঝোল ও পাট শাক সহযোগে আহার্য্য পরিবেশন করেন”। এ যুগের রমনীদের বেলায় এ কথা কতটুকু পালনীয় সেদিকে দৃষ্টি না দিলেও, এ কথা বিশ্বাস অবশ্যই করতে হবে যে, প্রাচীন বাংলায় পাটশাকের জনপ্রিয়তা ও আভিজাত্যের উপস্থিতি ছিল। পাট শাক ব্যাপক পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ঔষুধিগুণে গুণান্নিত। নিম্নে পাট ফসল চাষের গুরুত্ব বোঝাতে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার একটি চিত্র দেখানো হলো যাহা খন্দকার ও অন্যান্য, (১৯৯৫) -দের গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত।
বাংলাদেশে পাট ফসল চাষের গুরুত্ব
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে পাট আঁশ ফসল হিসাবে চাষ হয়ে আসছে। পৃথিবীতে খুবই কম দেশে পাট আবাদ করা সম্ভব। সেই দিক বিবেচনায় পাট বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। বর্তমান বিশ্বে প্রাকৃতিক আঁশের কদর বাড়ছে। মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে কৃত্রিম আঁশের বিষাক্ত থাবা কতটা ভয়ংকর। পাট আঁশ বিক্রির টাকা দিয়ে খাদ্য শস্য ক্রয় করা অস্বাভাবিক হবে না। তাছাড়া খাদ্য শস্য উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাটি এবং মাটিতে ফসলের খাদ্য উৎপাদনে পরিমাণ বা মাটির উর্বরতা। সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। কিন্তু বৎসরের পর বৎসর অজৈব রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে দেশের মাটির স্বাস্থ্য এখন খুবই নাজুক। বিশ্ব এখন পুনরায় জৈব সারের কথা ভাবছে দুই কারণে। এক হলো জনস্বাস্থ্য ও অপরটি পরিবেশ তথা মাটির স্বাস্থ্য। বাংলাদেশের কৃষক মাঠ ফসল হিসাবে পাট চাষ করে। ফসল কর্তনের পর পাটের মূল জমিতে থেকে যায়। তাছাড়া পাট ফসলের জীবনকালে ব্যাপকভাবে জমিতে পাতা পড়ে। জমিতে থাকা মূলে ও পাতা পচে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া পাট চাষে ব্যবহৃত সারের কিছু অংশ জমিতে অব্যবহৃত থেকে যায়। ইত্যাদি বহুবিধভাবে পাটের জমি জৈব পদার্থে ভরপুর থাকে। যা পরবর্তী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে খুবই কাজে লাগে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে শস্যক্রমে পাট আছে। তাই বাংলাদেশের গরিব কৃষক এ পর্যন্ত জমির ফসলহানির হাতে বাঁধা পড়েনি। পাটের শস্যক্রমগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়, পাট-রোপা আমন-গম, পাট-রোপা আমন-আলু, পাট-রোপা আমন-রবিশস্য, পাট-পতিত-মরিচ/সরিষা/গোলআলু, পাট-মুগ-গম+মসুর, পাট-রোপা আমন-খেসারি ইত্যাদি বহু অঞ্চল ভিত্তিক ফসলের প্রয়োজন ভিত্তিক শস্যক্রম বাংলাদেশের কৃষক পরিচালনা করে আসছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যে জমির শস্যক্রমে পূর্বে ফসল পাট থাকে, সে জমির যে কোনো পরবর্তী খাদ্য শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
পাটের পাতার পুষ্টিগুণ
পাটের পাতার পুষ্টিগুণ খুবই অবাক হওয়ার মতো। তবে সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ার ফলে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সচেতন নই। বাজারে বহু শাক পাওয়া যায়। যেমন- পুঁইশাক, পালংশাক, ডাঁটাশাক, কচুশাক, মুলাশাক ইত্যাদি। এ সকল শাকের মধ্যে পালংশাক আমাদের কাছে বহুল পরিচিত, পুষ্টিকর, মূল্যবান ও প্রিয় শাক। এই পালংশাকের সাথে পাট শাকের পুষ্টিমানের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে পাট শাকের পুষ্টিমানের গুরুত্বের বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
পালংশাক ও পাটশাকের মধ্যে কিছু পুষ্টিমানের তুলনা (প্রতিটির ১০০ গ্রাম ওজনের ভিত্তিতে)
নিচে ছকের মাধ্যমে তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় যে পাট শাকের পুষ্টিমান খুবই উন্নত। অন্যান্য শাকের তুলনায় পাট পাতায় প্রচুর পরিমাণে শক্তি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন ও ভিটানিম-সি বিদ্যমান। অতএব সবজি হিসাবে পুষ্টিহীনতায় পাট পাতার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম।
পাটপাতার সবজি ও ঔষধি ব্যবহার পুষ্টি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় ভবিষ্যৎ (২০৩০-এ) সম্ভাবনা
আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের বড় চাষিরা পাটের মৌসুমে জমিতে আন্তঃপরিচর্যার জন্য যে শত শত শ্রমিক নিয়োগ করে, চাষিদের পক্ষ থেকে তাদের নগদ টাকা ও এক বেলা বা দু বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের সকাল বা দুপুরের খাবার দেওয়া হয় ভাতের সাথে পাটশাক, ডাল, মরিচ এবং কখনো কখনো অন্য কোনো একটি তরকারী। এ ক্ষেত্রেও প্রচুর পরিমাণে পাটশাক সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তা ছাড়া বর্তমানে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শহর অঞ্চলের বড় বড় কাঁচাবাজারগুলোতে পাটের শাক প্রায় বছরের সব সময়ই পাওয়া যায় এবং বহুলভাবে কেনা বেচা হয়।
পাট মৌসুমে বাংলাদেশে দেশি ও তোষা উভয় জাতের পাটের পাতাই সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাট ফসলের আন্তঃপরিচর্যার সময় বীজ বপনের পর ২০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ২ অথবা ৩ বার গাছ পাতলা করণের মাধ্যমে সাধারণত এই কচি পাট পাতা সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কারণেই পাটের গাছের সংখ্যার চাইতে জমিতে অতিরিক্ত বীজ বপন করা হয়। প্রায় ৫ থেকে ১০ লক্ষ কচি পাট গাছ এইভাবে পাট ফসলের জমিতে থেকে পাতলাকরণের মধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয়। এই ভাবে ১ হাজার থেকে ২ হাজার কেজি সবুজ পাতা যাহা ২০০ থেকে ৪০০ কেজি শুকনা পাতার সমপরিমাণ হয়। এইভাবে সংগৃহীত পাট পাতা সারা দেশে সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটি গবেষণার তথ্যে উল্লেখ পাওয়া যায়, এক হেক্টর পাটের জমি থেকে ১২০ দিনে ৩.৫ থেকে ৫.০ টন কাচা পাতা উৎপাদিত হয়। সে হিসেবে সারা দেশে বছরের ১২০ দিনের ৮ লক্ষ হেক্টর পাট ফসলের জমি থেকে মোট প্রায় ২৮-৪০ লক্ষ টন পাতা উৎপাদন সম্ভব। যেখানে বাংলাদেশে ভাত হলো আমাদের প্রধান খাদ্য, সেখানে পাট পাতা শাক হিসেবে, স্যুপ হিসেবে, ভেজিটেবল চপ এবং ভাজা পাতা হিসেবে খাওয়ার প্রচলন তৈরি করা খুবই সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ জমি সবজি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এই সবজি উপাদনের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যেমন- জমির প্রাপ্যতা, প্রযুক্তির অভাব, খারাপ মানের বীজ, খারাপ আবহাওয়া, পোকা মাকড়ের আক্রমণ, কর্তন পরবর্তীতে উৎপাদিত ফসল নষ্ট হওয়া এবং বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে সঠিক মূল্য না পাওয়া ইত্যাদি। তবে এত কিছু সমস্যার মাঝেও পাট পাতার উৎপাদনে তেমন কোনো সমস্যা নেই। যদিও পাট গ্রীষ্মের ফসল তবে বছরের যে কোনো সময় সবজি হিসেবে পাট পাতার উৎপাদন করা সম্ভব। তা ছাড়া যে কোনো সময়ে উৎপাদিত পাতা শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে বছরের যে কোনো সময় চাহিদা মতো সবজি বা ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া জাপানি ব্যবহারকারীদের কাছে গাড় সবুজ রং-এর শুকনা পাট পাতা খুবই পছন্দনীয়। অতএব, আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে পাট পাতার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
দেশের কৃষকের নগদ অর্থ উপার্জনে, কর্মসংস্থানে, দারিদ্র্য বিমোচনে, বৈদেশিক অর্থ আহরণে ও সর্বোপরি জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তভাবে বিনির্মাণে পাটের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির নানা পরিবর্তনের ফলে, বাংলাদেশের পাটখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সকল চিন্তা, চেতনা এবং উদ্যোগ হয়তো এখনি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না, তবে একথা অনস¦ীকার্য যে, পাটখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর গঠনমূলক কল্যাণচিন্তা সর্বদাই আমাদের পথপ্রদর্শক বা নীতিনির্ধারক হয়ে থাকবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুধাবন করে পরিকল্পিতভাবে উদ্দোগ গ্রহণ করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে জাপান এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় পাট পাতাকে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং সাথে সাথে বাংলাদেশকে ২০৩০ সালে ক্ষুধা মুক্ত তথা স্বাস্থ্য রক্ষা ও পুষ্টিহীনতার সমস্যা থেকে মুক্ত করার প্রয়াশ পাওয়া অবশ্যই সম্ভব।
কৃষিবিদ ড. মো. মাহবুবুল ইসলাম
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান কৃষিতত্ত্ব¡ বিভাগ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা-১২০৭, মোবাইল-০১৫৫২৪১৬৫৩৭