Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কবিতা (পৌষ- ১৪২৭)

বঙ্গবন্ধুর অবদান ও কৃষি উন্নয়ন       

ড. মোঃ আলতাফ হোসেন১

উন্নয়ন করতে হলে প্রথমে দরকার ক্ষুধামুক্ত দেশ
বঙ্গবন্ধুর মেধাবী মাথায় খেলে গেল আইডিয়াটা বেশ।
বঙ্গবন্ধুর অবদানে কৃষিবিদরা হলেন ক্লাশওয়ান
কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বীজবপন করলো তাঁর এই আহ্বান।
কৃষিবিদরা বীরদর্পে নেমে পড়লেন স্ব স্ব কাজে
মেধাবীমুূখ বেড়ে যেতে লাগলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
ডিগ্রি নিয়ে কৃষিবিদরা ছুটে পড়লেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে
একাগ্র হয়ে কাজ করলেন সবাই আনন্দ চিত্তে।
তৈরি হতে লাগলো উচ্চফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি
কৃষি উন্নয়নের শুরুটাই তখন- যা বলাটা হবে না অত্যুক্তি।
কৃষি বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করতে শুরু করলেন উচ্চফলনশীল জাত
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে- এটাই হলো প্রথম ধাপ।
উদ্ভাবিত হতে লাগলো জাত- খরা, জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা প্রতিরোধী
ফসল বিন্যাসে নতুন মাত্রা যোগ করল জাত “স্বল্পমেয়াদি”।
কৃষক কুল ব্যস্ত হয়ে উঠলেন ফলাতে ফসল অবিরত
সম্প্রসারণবিদগণ ও সম্প্রসারিত করলেন প্রযুক্তি শত শত।
ধান চাষ এখন করা যায় সারাবছর জুড়ে
উঁচু, নিচু ও লবণাক্ত জমি কোনটাই থাকে না পড়ে।
ফলন এখন বেড়েছে প্রায় ৩-৪ গুণ বেশি
উচ্চফলনশীল জাত প্রতিস্থাপিত করেছে- “জাত দেশী”।
গমের ছিল না উন্নত জাত, চাষ করত সবাই খেরী
এখন এসেছে উচ্চফলনশীল জাত- বøাস্ট রোগ প্রতিরোধী।
ভুট্টা এখন চাষ হচ্ছে বিস্তৃত এলাকায় বিলে
সম্প্রসারণ হয়নি আগে- বাজারজাতকরণ ছিল না বলে।
শীতের সবজি ও গ্রীষ্মে এখন সফলভাবে চাষ করা যায়
স্ট্রবেরি, ড্রাগন, কমলা ও মাল্টা- কৃষক এখন দেশের মাটিতেই পায়।
নদীর পাঙ্গাশ ব্যাপকভাবে এখন পুকুরেই চাষ হয়
মাছে-ভাতে ভালোই আছি- “জনগণে এখন কয়”।
লেয়ার, ব্রয়লার মুরগি এখন প্রোটিনের সহজলভ্য উৎস
পশু খামার স্থাপন করে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে- দুধ ও মাংস।
বঙ্গবন্ধুর অবদানে কৃষিবিদরা হয়েছেন ক্লাসওয়ান
বিনিময়ে কৃষিবিদরা দিয়েছেন তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান।
কৃষি উন্নয়নে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছেন এখন ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা’
যাঁর সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় বয়ে চলেছে কৃষি উন্নয়নের বন্যা।


লাল সবুজ পতাকা যেন : দেশ
আবু হেনা ইকবাল আহমেদ২

ক.
মায়ের বুকের মতো   মাটির উষ্ণতা
অনুভব করি রোজ    দেহে-অভ্যন্তরে
কেটে যায় সারাক্ষণ   তারই গতরে
দিবা- রাত্রি গড়ে তুলি   পরম সখ্যতা।
যখনি মাটির বুকে     বীজ বুনে আসি
জলে-তাপে মায়ামেখে    টেনে নেয় কাছে
একদিন বীজ ফুঁড়ে    ক্রমশঃ আকাশে
নবীন পাতা ও শাখা   মেলে রাশি রাশি

মাটির গভীর থেকে    জীবনের রসে
বেঁচে রই বৃক্ষ প্রাণী    অক্লেশে সবাই
স্বর্ণাভ সে মাটিকণা     সর্বাঙ্গে জড়াই
তারে নিয়ে খেলা করি     রাতে কি দিবসে।

রক্তিম সূর্যের আলো    পাতাদের ফাঁকে
লাল সবুজ পতাকা     নিত্য দিন আঁকে।
খ.
বলিষ্ঠ হাতের মুঠি     মাটির গভীরে
নেড়েচেড়ে তুলে আনি    সোনালি ফসল
যে নদী চলছে বয়ে    কলো ছলো ছল
পর্ণকুঠি গড়ে তুলি    তার বালু তীরে।
চাঁদ সওদাগর সে     কবে চলে গেছে
আবার আসবে নিতে       দেশজ ফসল
আধোঘুমে ধ্বনি শুনি     জলে কল কল
ডিঙি চলে পণ্যভরে     ভিন কোনো দেশে

দিগন্তে তাকিয়ে দেখি    রাঙা একাত্তর
আকাশে সূর্যের লাল      মাঠের সবুজ
কামরাঙা কাঁঠাল কি      বট তরমুজ
পাখিদের কোলাহলে      প্রকৃতি বিভোর।
    
বিজয় পতাকা যেন    অপরূপ সাজে
লাল সবুজের দেশ,   নানা কারু কাজে।

১প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত¡ বিভাগ, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনা। মোবাইলন : ০১৭২৫-০৩৪৫৯৫, ই-মেইল: hossain.draltaf@gmail.com
২পরিচালক(অব.), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কৃষি মন্ত্রণালয়, সেল: ০১৬১৪৪৪৬১১১, 01614446111, ahiqbal.ahmed@yahoo.com