Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বঙ্গবন্ধু, কৃষি ও কৃষি তথ্য সার্ভিস

কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী

মুজিব শতবর্ষে মহান বিজয়ের এ মাসে সবাইকে শুভেচ্ছা। এখন থেকে প্রায় ৫ দশক আগে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহŸানে সাড়া দিয়ে এদেশের সূর্যসন্তানরা তাঁদের জীবন দিয়ে অর্জন করেছিল বাংলার স্বাধীনতা। তাঁদের উৎসর্গের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামে এক নতুন ভূখণ্ড-স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার পূর্ণঅধিকার। তাই অবনত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনে যারা প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাঁদের সবাইকে।


কৃষি প্রধান এদেশে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া যাবে তখনই যখন আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য খেতে পারব খাদ্য নিরাপত্তার বলয়ে। হাজার বছরের অবহেলিত ও শোষিত এ বাংলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ও সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন কৃষির উন্নতিই হচ্ছে কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তি। কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তি মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য হবে আরো প্রজ¦লিত। বর্তমান কৃষিতে দেশের যে অনন্য সাফল্য তা বঙ্গবন্ধুরই চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা। সফলতার সাথে কৃষি ও কৃষকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের উর্বর জমি, আমাদের অবারিত প্রাকৃতিক সম্পদ, আমাদের পরিশ্রমী মানুষ, আমাদের গবেষণা সম্প্রসারণ কাজে সমন্বয় করে আমরা খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করব।’


কৃষি ও কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধুর কাছে যুদ্ধপরবর্তী বিধ্বস্ত অর্থনীতির দেশের কৃষি ও অর্থনীতির রূপ পরিবর্তন করা ছিল নতুন চ্যালেঞ্জ। কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে দীপ্ত মনোবল নিয়ে যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের কৃষি, বন, সমবায়মন্ত্রী হয়ে পাকিস্তান গণপরিষদে জমিদারদের উদ্ধৃত জমি কৃষকের মাঝে বণ্টনের প্রস্তাব উত্থাপন, দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে ১৯৬৬ সালে দিলেন ৬ দফা। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন বিজয় অর্জিত হয়। পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করলে  বাংলার মুক্তিকামী জনতা স্বাধিকারের জন্য ফুঁসে উঠে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হায়নার দল। বাংলার কৃষকও বঙ্গবন্ধুর ডাকে, লাঙল ফেলে হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলার মানুষ পেল স্বাধীনতার লাল সূর্য, পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভ‚মির লাল-সবুজের নতুন পতাকা।


বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রথমেই গুরুত্ব দেন কৃষি উন্নয়নের কাজে। ডাক দেন সবুজ বিপ্লবের। তিনি বলেছিলেন, ‘কৃষক ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ, কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে সবুজ বিপ্লব সফল করে তুলুন। বাংলাদেশকে খাদ্যে আত্মনির্ভর করে তুলুন।’ বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন, কৃষির উন্নতি ছাড়া এদেশের মানুষের মুক্তি আসতে পারে না। এজন্য কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ভ‚মিস্বত্ব আইন জারি করে পরিবার প্রতি ভ‚মি মালিকানা ৩৭৫ একর থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা সিলিং আরোপ করেন। গরিব কৃষকের ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করে দেন। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কৃষকের মাঝে খাসজমি বিতরণ, কৃষির উৎপাদন খরচ কমাতে ভর্র্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি-উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেন। কৃষকের মাঝে খাসজমি বিতরণ ও সেচ পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় তিনগুণ। 

ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষি-অবকাঠামো পুনর্নিমাণের পাশাপাশি শোষক আমলের ১০ লাখ সার্টিফিকেট মামলা থেকে কৃষকের মুক্তি দেন ও তাদের সব ঋণ মওকুফ করেন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষিশিক্ষায় আকৃষ্ট করার জন্য ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি কৃষিবিদদের চাকরি ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষণা করেন। যা ছিল কৃষি উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।


বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য দেশের এক ইঞ্চি পরিমাণ জমি যাতে পড়ে না থাকে এবং জমির ফলন যাতে বৃদ্ধি পায়, তার জন্য দেশের কৃষক সমাজকেই সচেষ্ট হতে হবে।’  উদ্যোগ  নেওয়া হয় তথ্য প্রযুক্তি ও আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিব্যবস্থার। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করেই  ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছে বর্তমান সরকার। কৃষি উন্নয়নে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে বাংলার কৃষি এখন বিশ্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সদয় নির্দেশ প্রতিপালন ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে জনসচেতনতামূলক উপযোগী কৃষি তথ্য তাৎক্ষণিক পৌঁছে দিচ্ছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।


কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি বিস্তারে নিয়োজিত কৃষি তথ্য সার্ভিস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত  আধুনিক লাগসই কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি সহজ, সরল ও সাবলীলভাবে অভীষ্ট দলের বোধগম্য আকারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে বিভিন্ন আঙ্গিক ও কৌশলে উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাই হচ্ছে কৃষি তথ্য সার্ভিসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১৯৬১ সালে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে কৃষি তথ্য সার্ভিস দ্বিধা বিভক্ত হয়ে এক-তৃতীয়াংশ জনবল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চলে যায়। ২০০৮ সালের পূর্বে সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা, ময়মনসিংহ ৬টি আঞ্চলিক অফিস এবং ঠাকুরগাঁও ও কক্সবাজার  লিয়াজোঁ অফিস ছিল। বর্তমানে বরিশাল, রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটিতে পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসসহ ১১টি আঞ্চলিক অফিস ও ২টি লিয়াজোঁ অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষি তথ্য সার্ভিসের মিডিয়াভিত্তিক কার্যক্রম সুচারুভাবে চলছে। প্রচারই প্রসার এ সত্যকে ধারণ করে কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রিন্ট বেতার, টেলিভিশন, প্রোডাকশন ও প্রজেকশন, আইসিটি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষি তথ্যপ্রযুক্তি বিস্তারে নিরলসভাবে কাজ করছে।


বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফার্ম ম্যাগাজিন মাসিক ‘কৃষিকথা’ প্রকাশ এবং নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হয়। বর্তমান কৃষিকথার গ্রাহক সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে এর পাঠকের সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। মাসিক বিভাগীয় নিউজ বুলেটিন সম্প্রসারণ বার্তা চার রঙে মুদ্রণ ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষক ও কৃষিকর্মী এবং আগ্রহীদের চলমান চাহিদামাফিক সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর মুদ্রণসামগ্রী প্রকাশ ও বিনামূল্যে বিতরণের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিস্তারে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে।


কৃষি তথ্য সার্ভিসের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং সহায়তায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান সপ্তাহে ৫ দিন সম্প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া ২০১৪ সাল থেকে বিটিভিতে প্রতিদিনের কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বাংলার কৃষি’ প্রতিদিন সকাল ৮টার বাংলা সংবাদের পর এবং পরবর্তী দিন সকাল ১১.৪০ মিনিটে পুনঃপ্রচার হয়। বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় ও আঞ্চলিক কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান নির্মাণে কৃতসা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বেতার কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। ‘আমার রেডিও আমার কথা বলে’ এ স্লোগানকে ধারণ করে বরগুনা জেলার আমতলীতে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে কৃষি রেডিও এফএম ৯৮.৮ নামে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ১২টি উপজেলায় গ্রামীণ কল্যাণ ও চাহিদাভিত্তিক কৃষিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান দৈনিক ৮ ঘণ্টা সম্প্রচারিত হয়। পাশাপাশি সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ফিল্ম, ফিলার, নাটক, টকশো নির্মাণ এবং গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়। এ ভিডিওগুলো গ্রামীণ পর্যায়ে মোবাইল সিনেমা ভ্যানের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।


ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গ্রামপর্যায়ে কৃষকের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে দিতে কৃষি তথ্য সার্ভিসই প্রথম  দেশব্যাপী ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট মডেম, মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী ইত্যাদি প্রদান করে ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ  দেয়া হয়েছে। সরাসরি কৃষি বিশেষজ্ঞদের (কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে ২০১৪ সালে কৃষি ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র সরকারি  কৃষি কল সেন্টার-১৬১২৩ যাত্রা শুরু করে। যেকোনো অপারেটরের মোবাইল থেকে মাত্র ২৫ পয়সা/মিনিট হারে কল করে গ্রাহকরা শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ সেবাটি গ্রহণ করছে।


কৃষি বিষয়ক আধুনিক তথ্য চিত্র আর্কাইভের জন্য এআইএসটিউব ডিজিটাল ওয়েবপোর্টাল নির্মাণ করা হয়েছে। এখান থেকে উপকারভোগীরা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবে। কৃষির বিভিন্ন প্রযুক্তিগত তথ্য সংবলিত একটি সুবিশাল ওয়েবপোর্টাল িি.িধরং.মড়া.নফ নির্মাণ ও নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও কৃষিকথা ও কৃষি তথ্য সার্ভিস নামে দুটি মোবাইল অ্যাপস নির্মাণ করা হয়েছে।
মুজিববর্ষে কৃষি তথ্য সার্ভিসের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ১৭ মার্চ ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন চ্যানেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক কৃষিভিত্তিক একটি নতুন অনুষ্ঠান ‘মাটির সাথে মানুষের সাথে’ উদ্বোধন করেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটিতে কৃষিভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তি, সফলতা, কৃষিতে সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপ ইত্যাদি সম্প্রচারিত হয়।  


কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষির অগ্রযাত্রার গৌরবোজ্জ্বল অংশীদার। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে কৃষি তথ্য সার্ভিস অর্জন করেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক (স্বর্ণপদক), সম্প্রতি ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০-এ আইসিটি ব্যবহারে সেরা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী পদকসহ নানা স্বীকৃতি। এছাড়াও ডিজিটাল কৃষি তথ্য বিস্তারে উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃষি তথ্য সার্ভিস ভারতের ম্যান্থন পুরস্কার ভ‚ষিত হয়। বর্তমান সরকারের কৃষি উন্নয়নের অব্যাহত ধারায় এআইএস কৃষি তথ্য বিস্তারে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করছে। সেবার মান সময় উপযোগী, আধুনিক, সহজলভ্য ও গ্রহণ উপযোগী  করা হচ্ছে। বহুবিধ সীমাবদ্ধতা ও প্রতিক‚লতার মধ্য দিয়েও কৃষির উন্নয়নের জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিস নিরলস কাজ করছে। কৃষির জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক, কৃষিতে সাফল্যের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হোক- এ প্রত্যাশাই সবার।

পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫, ফোন : ০২৫৫০২৮২৬০, ই- মেইল :dirais@ais.gov.bd