Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

ফলগাছের অঙ্গ ছাঁটাই

ফলগাছের অঙ্গ ছাঁটাই
কৃষিবিদ খোন্দকার মোঃ মেসবাহুল ইসলাম
বাংলাদেশের শহর-নগর-গ্রাম যেদিকেই তাকানো যায় না কেন, একটা না একটা ফলের গাছ চোখ পড়বেই। এসব ফলগাছের অধিকাংশই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা। খুব কম সংখ্যক ফলগাছ আছে, যেগুলো অঙ্গ ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছে। রোপণ থেকে শুরু করে ফল ধারণ পর্যন্ত সময়কালে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে ফলগাছের বিভিন্ন অঙ্গ ছাঁটাই করতে হতে পারে। এতে গাছের যেমন একটি নির্দিষ্ট আকার-আকৃতি দেয়া যায়, তেমনি কাক্সিক্ষত বা আশানুরূপ ফল ধারণ হয় ও ফল সংগ্রহে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়।
অঙ্গ ছাঁটাই ফলগাছ ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম কাজ। মূলত দুটি উদ্দেশ্যে ফলগাছের অঙ্গ ছাঁটাই করা হয়ে থাকে। প্রথমত অফলন্ত ফলগাছকে একটি নির্দিষ্ট আকার আকৃতি দেয়া এবং অফলন্ত ও ফলগাছের অপ্রয়োজনীয় দুর্বল, চিকন, নরম, ভাঙা ও মরা শাখা-প্রশাখা, রোগ ও পোকা আক্রান্তা শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করে গাছের ভেতরের দিকে আলো-বাতাস চলাচল স্বাভাবিক রাখা। এ দুটি উদ্দেশ্য ছাড়াও আরো কিছু কারণে ফলগাছ ছাঁটাই করতে হয়। যেমন-ফল গাছটি যদি মাতৃগাছ হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ফলগাছ থেকে বেশি পরিমাণে সায়ন উৎপাদন করা; ফলগাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল-ফল উৎপাদনক্ষম শাখা-প্রশাখার সংখ্যা বাড়ানো; ফলের গুণগতমান বৃদ্ধি করা; ঝড় বা প্রবল বাতাসে যেন ফলগাছ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য গাছকে সুগঠিত ও মজবুত অবকাঠামো প্রদান করা; নির্দিষ্ট জমিতে বেশি সংখ্যক ফলগাছ রোপণ করা; ফলগাছের বিভিন্ন পরিচর্যা যেমন- বালাইনাশক স্প্রে করা, সায়ন সংগ্রহ করা ইত্যাদি কাজ সহজ করা; যেসব ফলগাছে ফল ধারণ সমস্যা আছে, সেসব গাছের ফল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন শাখা প্রশাখা গজানোর ব্যবস্থা করা; এক বছর পর পর যেসব গাছে ফল ধরে সেসব গাছের একান্তর ক্রমিক ফলনের প্রভাব কমানো বা ফল ধরার ব্যবস্থা করা; যেসব শাখা-প্রশাখা অন্য শাখা-প্রশাখার ভেতর ঢুকে যায় কিংবা যেসব শাখা-প্রশাখা নিম্নমুখী হয় সেগুলো ছাঁটাই করে গাছকে ঝোপালা অবস্থা থেকে মুক্ত রাখা; ফলগাছের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
ফলগাছের বিভিন্ন অঙ্গ ছাঁটাইয়ের সময় বিভিন্ন ফলগাছের বয়স, জাত ও বৃদ্ধির স্বভাব অনুযায়ী ছাঁটাই করতে হয়। তবে লক্ষ রাখতে হয়, কখনোই যেন অতিরিক্ত ছাঁটাই করা না হয়। 
ফল ধরার আগেই ফল গাছের কাঠামোগত আকৃতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, গাছের অগ্রভাগ বা শীর্ষ ছাঁটাই করে গাছকে খাটো রাখা। এতে গাছে সার প্রয়োগ, সেচ পদান,  স্প্রে করা এবং সহজে ফল সংগ্রহসহ অন্যান্য পরিচর্যা করা যায়। এছাড়া গাছে যদি চার থেকে সাতটি শাখা-প্রশাখা থাকে তাহলে গাছ যান্ত্রিকভাবেও দৃঢ় ও আলো-বাতাস চলাচলের জন্য খোলামেলা হয়। গাছের ভেতরের দিকে এমন কিছু শাখা প্রশাখা গজায় যেগুলো থেকে কোন ফলন পাওয়া যায় না, সেগুলোও ছাঁটাই করা উচিত। কোন কোন ফলগাছের গোড়ার দিকে কিছু কিছু কুশি বা নতুন শাখা বের হতে দেখা যায়, সেগুলো নিয়মিতভাবে ছাঁটাই করতে হয়। যেমন- ডালিম, পেয়ারা, লেবু ও কাঁঠাল গাছের গোড়ায় দুই-তিন সপ্তাহ পর পর বের হওয়া কুশিগুলো ছাঁটাই করতে হয়। 
ছাঁটাই করার সময় লক্ষ্য রাখতে হয়, গাছের সতেজতা, বয়স এবং জাত ও বৃদ্ধির স্বভাব। কম বয়সী ফলগাছে যথাসম্ভব হালকা ছাঁটাই করতে হয়। তবে কম বা বেশি যে বয়সেরই হোক না কেন গাছ মরা বা ভাঙ্গা এবং রোগ পোকা আক্রান্ত শাখা-প্রশাখা ছাঁটাইয়ের সময় কিছুটা সুস্থ অংশসহ ছাঁটাই করতে হয়। মূল কা- এবং মোটা শাখা কখনোই ছাঁটাই করা ঠিক নয়।
বড় মোটা শাখা কাটার সময় নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্রায় ১ ফুট বা ৩০ সেন্টিমিটার দূরে নিচের দিক থেকে কাটা শুরু করতে হয়। কাটার গভীরতা নির্ভর করে কর্তিত শাখার অংশ নিচের দিকে বেঁকে আসা পর্যন্ত। এর পর শাখার উপরের দিকে প্রথম কাটার স্থান থেকে ১ ইঞ্চি বা আড়াই সেন্টিমিটার দূরে দ্বিতীয় কাটা দিতে হয়। এতে কাটা শাখা বাকল বা ছালের সাথে ঝুলে থাকে না। কাটা জায়গায় আলকাতরা বা ছত্রাকনাশক লাগাতে হয়। চিকন শাখাও নিচের দিক থেকে কাটলে অকর্তিত অংশের ছাল বা বাকল উঠে আসে না। কাটার সময় সুস্থ সবল কুঁড়ি বা পর্বসন্ধির ঠিক উপরেই শাখা কাটা উচিত। তবে গাছের বৃদ্ধি নির্ণয়ের জন্য শাখার কুঁড়ি বা পর্বসন্ধির নিচেই কাটতে হয়।
ফলগাছ ছাঁটাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় ও মৌসুমের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হয়। কারণ অসময়ে ছাঁটাই করলে সুফল পাওয়ার বদলে ফলগাছে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সে জন্য কাক্সিক্ষত ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে। বর্ষার শেষে এবং শীতের আগে ফলগাছ ছাঁটাই করা উচিত। তবে ফল সংগ্রহের পরই ছাঁটাই করা সবচেয়ে ভালো। গাছে ফুল আসার আগে বা ফল ধরা অবস্থায় শাখা প্রশাখা ছাঁটাই করা ঠিক নয়। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলধারণ এবং ফলের আকার আকৃতি বড় ও গুণগতমান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত ফুল ও ফল ছাঁটাই করা যেতে পারে। এছাড়া খরা, দীর্ঘ শুকনো মৌসুম বা শীতের সময় কখনোই ছাঁটাই করা উচিত নয়। বর্ষার সময় বিশেষ করে বৃষ্টির দিন ছাঁটাই না করাই ভালো। 
বাংলাদেশে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়। এত সুস্থ সবল ফল গাছ থেকে ভালো ফলন পেতে জেনে নেই ফল গাছের অঙ্গছাঁটাইয়ের প্রয়োজনীয় সময়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম। বাগান আকার ছাড়াও গ্রাম এবং শহর নগর অনেকের বাড়িতে আঙিনায় ও ছাদ বাগানে ছোট-বড় জাতের আম গাছ চোখ পড়ে। সঠিক সময়ে সঠিকভাব ছাঁটাই এবং অন্যান্য পরিচর্যা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলে এসব আম গাছ থেকে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। জুন মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময় বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহের পরপরই বোঁটার উপরের কিছুটা অংশসহ গাছ থেকে বোঁটা ছাঁটাই করে ফেলা উচিত। এতে নতুন যে শাখা গজায় তার বয়স ৬-৭ মাস হলেই পরের মৌসুমে মুকুল আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া রোগ ও পোকা আক্রান্ত, মরা, আধামরা, দুর্বল-চিকন শাখা ছাঁটাই করতে হয়। গাছের নিচের আগাছা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোদাল দিয়ে হালকা করে কোপালে কিছু কিছু শিকড় কাটা পড়ে। এটি আম গাছের একান্তর ক্রমিক ফল ধারণ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী আম গাছ বেশি ছাঁটাই করলে কলম করার জন্য ভালো সায়ন পাওয়া যায়। এছাড়া ভবিষ্যতে ভালো ফলন পাওয়ার জন্য তিন বছর বয়স পর্যন্ত আম গাছের মুকুল ছাঁটাই করতে হয়। ফল গাছ ছোট ও অপুষ্ট আম কিংবা অধিক সংখ্যক আম থেকে ছোটগুলো ছাঁটাই করলে বাকি আমগুলো আকার বড় হয়। 
জুলাই-আগস্ট মাস কাঁঠাল সংগ্রহের পর কাঁঠাল গাছের দুর্বল, মরা রোগ ও পোকা আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করতে হয়। তবে সে সাথে ফলের বোঁটা এবং কা- ও গোড়া থেকে বের হওয়া নতুন শাখা ছাঁটাই করতে হয়। অনেকেই ছাগলের খাদ্য হিসেবে বছরের যে কোন সময়ই কাঁঠাল পাতার জন্য ছোট ছোট ডালসহ ছাঁটাই করে থাকেন। এতে গাছের খাদ্য উৎপাদন কমে যায় ও গাছ দুর্বল হয় ও ফল ধারণও কমে যায়। আবার কাঁঠাল ফল সংগ্রহ করার পর পুরনো গাছ এমনভাব ছাঁটাই করা হয় যে, গাছে ডালের সংখ্যা ও পাতার সংখ্যা থাকে না বললেই চলে। এটিও ঠিক নয়। জুলাই মাসের শেষে সপ্তাহে ছাঁটাই করলে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিক কাঁঠাল গাছে মুচি আসা শুরু হয় এবং পরের বছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে কিছু সংখ্যক আগাম ও পুষ্ট কাঁঠাল পাওয়া যায়। ছাঁটাইয়ের পরপরই গাছে কপার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। এ ছাড়া গোড়ার চারদিকের আগাছা পরিষ্কার করার পর জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করতে হয়। এরপর হালকা করে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার পর সেচ দিতে হয়। 
লিচুর ফল সংগ্রহের সময় সাধারণত কিছুটা শাখাসহ ভাঙা হয়। কারণ লিচুর ফুল ফোটা অনেকাংশই নির্ভর করে নতুন শাখা প্রশাখার উপর। তবে চায়না-৩ জাতের বেলায় বেশি শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই না করাই ভালো। কারণ এ জাতটির নতুন শাখা-প্রশাখায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় খুব বেশি ফুল ফল ধরে না। এজন্য দুর্বল, মরা, রোগ ও পোকা আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করা ছাড়া চায়না-৩ জাতের লিচু সংগ্রহের সময় যতটা সম্ভব কম শাখা-প্রশাখা ভাঙ্গা বা ছাঁটাই করা উচিত।  
লেবুর কলম বা চারা  রোপণের পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত ২-৩ মাস পর পর শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করে পাতলা করে দিতে হয়। ফল সংগ্রহ করার পর ফলন্ত শাখা প্রশাখাগুলো ছাঁটাই করে দিলে নতুন গজানো শাখায় পরের মৌসুমে বেশি ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া ২-৩ সপ্তাহ পর পর গাছের গোড়ার কুশি এবং গাছের দুর্বল, শুকনো বা মরা, রোগ ও পোকা আক্রান্ত শাখা-প্রশাখা অবশ্যই ছাঁটাই করতে হয়।
নারিকেল গাছের উপরের দিকে পুষ্পমঞ্জরীর সাথে যে জালের মতো বাদামি অংশ থাকে, সেগুলো ফল থাকা অবস্থায় পরিষ্কার না করাই ভালো, শুধুমাত্র রোগ-পোকার আক্রমণ হলেই পরিষ্কার করতে হয়। নারিকেল গাছের সবুজ পাতা এবং পুষ্পমঞ্জরির জাল কখনোই কেটে ফেলা উচিত নয়। গাছে যদি ফল সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে চার মাস বয়সের কিছু কচি ডাব পাতলাকরণ পদ্ধতিতে ছাঁটাই করে দিতে হয়। এতে বাকি ফলগুলো ভালোভাবে বড় হওয়ার সুযোগ পায়। বর্ষার আগে বা পরে গাছ পরিষ্কার করতে হয়।
প্রাকৃতিকভাবেই পেয়ারা গাছ ঝোপালো হয়। এজন্য মূল কা- ছাড়া গাছের গোড়া থেকে বের হওয়া শাখা কেটে দিতে হয়। ফল সংগ্রহের পর শাখা-প্রশাখার আগা ছাঁটাই করতে হয়। গাছের অন্য শাখা-প্রশাখাও এমনভাব ছাঁটাই করতে হয় যেন দুপুর বেলা গাছের নিচে কিছু আলো কিছু ছায়া পড়ে। 
কুল গাছ ছাঁটাই করতে হয় ফল সংগহ করার পরপরই। কুল গাছ ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে নতুন শাখায় গজানো কুলের আকারে বড় হয় এবং গাছ রোগ ও পোকামাকড় মুক্ত থাকে। এছাড়া ছাঁটাই করা গাছ চারদিকে কম জায়গা জুড়ে থাকে। বেল, কদবেল, আতা ও শরীফা ফল সংগ্রহ করার পর গাছে হালকা ছাঁটাই দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ফলধরা শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগ এবং মরা, রোগাক্রান্ত ও শুকনো শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করতে হয়। 
ডালিম গাছের গোড়া থেকে বের হওয়া কুশিগুলো নিয়মিতভাবে ছাঁটাই করতে হয়। এছাড়া দুর্বল, মরা, রোগ ও পোকা আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করতে হয়। রোগ ও পোকা আক্রান্ত ফলও ছাঁটাই করে ফেলে দিতে হয়। 
শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই ছাড়াও আরো এক ধরনের ছাঁটাই আছে। তা হলো, অতিরিক্ত ফল ছাঁটাই। পেঁপে, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল যখন এক বোঁটায় বা একই জায়গায় ঘন হয়ে ধরে, তখন সেগুলোর মধ্য থেকে ছোট, বিকৃত কিংবা রোগ ও পোকামাকড় আক্রান্ত ফলগুলো ছাঁটাই করে ফেলে দিতে হয়। এতে অন্য ফলগুলো আকারে বড় ও ভালোভাবে পুষ্ট হওয়ার সুযোগ পায়।
সবশেষে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, ফলগাছের অঙ্গ ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে গাছ যেভাবে হালকা হয়ে যায়, তাতে করে ঝড় বাতাসে গাছ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছাঁটাইয়ের পর ফলগাছের পরিচর্যা সহজ হওয়ায় রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এতে ফলগাছকে সুস্থ সবল রেখে বেশি পরিমাণে ফলন পাওয়াও সম্ভব হয়। 
 
লেখক : উদ্যান বিশেষজ্ঞ, সরেজমিন উইং (সংযুক্ত), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। মোবাইলঃ ০১৮১৮৭১৯৪৫৩,           ই-মেইলঃ সবংনধযঁষ৬৫@মসধরষ.পড়স