খাদ্যের অধিকার নিশ্চিতে টেকসই
কৃষি ব্যবস্থাপনা
মো: ছাইফুল আলম
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রধান মৌলিক চাহিদা হলো খাদ্য। তাই সুস্থ সবল ও উন্নত জাতি গঠনে খাদ্যের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অন্যদিকে খাদ্য মানুষের অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২৫/১ ধারায় প্রত্যেক মানুষের খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার আলোকে ১৯৬৬ সালে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে খাদ্য অধিকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিশাল পৃথিবীর সব মানুষের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুষ্টিহীনতা দূর ও দরিদ্রতার মূলোৎপাটন করে ক্ষুধামুক্ত নির্মল পৃথিবী গড়ার কাজে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবাযু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ খাদ্য সুরক্ষা এবং কৃষির বিভিন্ন দিকগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য “উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার” নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য সদস্য দেশের মতো বাংলাদেশও ১৬ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করতে যাচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও কৃষিজমির ক্রমহ্রাসমান অবস্থার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা প্রতিকূলতা আমাদের কৃষি তথা খাদ্য উৎপাদনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এমন বাস্তবতায় ১৮ কোটি মানুষের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষিতে নিয়োজিত মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি করা সরকারের অঙ্গীকার। এছাড়া দেশে উদ্ভাবিত ফসলের নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে খাদ্যের স্থায়িত্বশীলতা অর্থাৎ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাদ্যের অধিকার ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।
টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা মূলত চাষের একটি পদ্ধতি যা কৃষকদের জন্য পরিবেশবান্ধব, সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ এবং অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর উপায়ে খাদ্য উৎপাদনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার মূল দিকগুলো হলো:
উত্তম মাটি ব্যবস্থাপনা : মাটির উর্বরতা শক্তি ও উৎপাদনশীলতা রক্ষা করতে মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে ফসলে সময়মতো এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটিতে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। বিভিন্ন ফসলের গাছের মূল মাটিতে বিভিন্ন গভীরতায় প্রবেশ করার কারণে মাটির বিভিন্ন স্তর থেকে খাদ্য উৎপাদন অপসারিত হয়। তাই মাটির উর্বরতা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে রাখতে পর্যায়ক্রমিক ফসলের চাষ করতে হবে। এই শস্যচক্রে শিমজাতীয় একটি ফসল চাষ করলে বায়ুম-লের মুক্ত নাইট্রোজেন শিকড়স্থিত নডিউল ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে মাটিতে যুক্ত হয়। মাটির সংরক্ষণ ও ক্ষয়রোধ করতে আচ্ছাদন জাতীয় ফসলের চাষ, বায়ু রোধকারী বৃক্ষ রোপণ, ফালি চাষ, মালচিং এবং জমিতে জৈবসার প্রয়োগ করা যায়। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈবসার ফল, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের সঙ্গে অণুখাদ্যের জোগান দেয়। মাটিতে বিদ্যমান খাদ্যসামগ্রী ও সারের মাধ্যমে প্রয়োগকৃত উপাদানগুলো ফসলের গ্রহণযোগ্য পর্যায় তৈরির জন্য চাহিদা অনুসারে সময়মতো ও পরিমিত পানি সেচ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সঠিক নিয়মে সুপারিশকৃত মাত্রায় ডলোচুন ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির অম্লত্ব দূর করা যায়।
উত্তম ফসল ব্যবস্থাপনা : ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ফসলের বীজবপন অথবা চারা রোপণের পর থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত সকল পর্যায়ে আধুনিক চাষ প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে উত্তম ও নিরাপদ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা অতীব জরুরি। বর্ধিত ফসল উৎপাদন করার জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের ফসল এবং পরিবেশবান্ধব ও অর্থসাশ্রয়ী আধুনিক লাগসই প্রযুক্তিগুলো মাঠপর্যায়ে অতি দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে শ্রমিক স্বল্পতার অভাব দূর করা ছাড়াও জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে আকস্মিক বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগের ফলে শস্যহানির ঝুঁকি এড়াতে যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ও অবশিষ্ট এলাকায় ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তা/ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে কম মূল্যে পাওয়ার টিলার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, রিপার, কম্বাইন হারভেস্টার, পাওয়ার টিলারচালিত সিডার, পাওয়ার থ্রেসার ও ফুটপাম্প কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কর্মসূচির ফলে দেশে কৃষি জমি চাষে ৯০%, আগাছা দমনে ৬৫%, কীটনাশক প্রয়োগে ৮০%, সেচকার্জে ৯৫% এবং ফসল মাড়াইয়ের কাজে ৭০% যান্ত্রিকীকরণ সম্ভব হয়েছে। একক জমিতে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে একফসলি জমিতেও সারাদেশে আবাদ হচ্ছে গড়ে দুটি ফসল। এলাকাভেদে এ চাষাবাদ গড়িয়েছে তিন থেকে চার ফসলেও। এতে দেশে বর্তমানে ফসলের নিবিড়তা বেড়ে হয়েছে ২১৪ ভাগ (কৃষি শুমারি-২০০৯,বিবিএস-২০২২)। এছাড়াও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং বহুমুখী শস্য আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করতে অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। দেশের সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে অনাবাদি পতিত জমিকে চাষের আওতাভুক্ত করতে সারা বছর বসতবাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজি এবং মসলাজাতীয় ফসল ও ফলফলাদি চাষের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যান ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ বছরব্যাপী প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফলের উৎপাদন বাড়াতে সমতল ও পাহাড়ি জমি এবং উপকূলীয় ও অন্যান্য অঞ্চলের অব্যবহৃত জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। পাশাপাশি বসতবাড়ির পতিত জমিকে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের অন্তর্ভুক্ত করায় বছরে ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের জমি বাড়ছে।
উত্তম কৃষি চর্চা (এঅচ) অনুসরণ করে মানসম্মত আমের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততাসহিষ্ণু ফসলের উপযুক্ত জাত, বিস্তৃত অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্যান ফসলের চাষ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভাসমান চাষ, বৈচিত্র্যময় ফসল উৎপাদন, মানসম্মত বীজ, যথাযথ মাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, জৈবসার ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা, কৃষিতাত্ত্বিক পরিচর্যা এবং সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের গড় ফলন পার্থক্য হ্রাস করাসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপনে এবং এর বিপণনে কৃষকদের বিশেষ সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
উত্তম পানি ব্যবস্থাপনা : মাটিতে ফসলের সুষম বৃদ্ধির জন্য, সেচ বা নিষ্কাশনের মাধ্যমে মাটিস্থ পানিকে গাছের জন্য সহজলভ্য করা, মাটির লবণাক্ততা হ্রাস ও আগাছা নিয়ন্ত্রণে সঠিক উপায়ে পানি ব্যবস্থাপনা জরুরি। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, বেড পদ্ধতিতে ফসল চাষে ৪২ ভাগ সেচ পানি সাশ্রয় হয়। ধানের ফলন ২০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধিসহ ১৮-২০ ভাগ ইউরিয়া সার কম লাগে। টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ পানির সংরক্ষণ এবং ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রযুক্তি সম্প্রসারণ হচ্ছে। পাশাপাশি সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি, সেচপানির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সেচপাম্প চালনায় সৌরশক্তি ব্যবহারসহ যৌথভাবে সার ব্যবস্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। সে সাথে সার্বিকভাবে সব উপকরণ ব্যবহারের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য মাঠপর্যায়ে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। মাটির উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের জন্য আধুনিক পানি সাশ্রয়ী বিভিন্ন চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের জন্য একটি লাভজনক সেচ পদ্ধতি হলো ফার্টিগেশন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কেবলমাত্র পানিতে দ্রবণীয় রাসায়নিক সার যেমন-ইউরিয়া, পটাশ (প্রতি ১৪০ লিটার পানিতে ১ কেজি) পানিতে মিশিয়ে একই সঙ্গে সার প্রয়োগ ও সেচের কাজ করা যায়। সেচ সঙ্কট এলাকা, লবণাক্ত অঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় রাসায়নিক সার মিশ্রিত ড্রিপ সেচ পদ্ধতি অত্যন্ত উপযোগী। ফুল, ফল ও ফসলের জমিতে সরাসরি রুট জোনে পানি পৌঁছে দিতে আধুনিক স্প্রিংলার ইরিগেশন ব্যবস্থায় পানি সেচ একটি দক্ষ সেচ পদ্ধতি।
উত্তম বালাই ব্যবস্থাপনা : ক্ষতিকর পোকা ও কীটপতঙ্গের আক্রমণের কারণে বার্ষিক ফলন হ্রাস ধানের ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ, গমের জন্য ১১ শতাংশ, আখের ২০ শতাংশ, সবজির জন্য ২৫ শতাংশ, পাটের জন্য ১৫ শতাংশ এবং ডাল ফসলের জন্য ২৫ শতাংশ হয়ে থাকে। জৈবসার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। ইন্টিগ্রেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্ট (আইপিএম) বা সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রযুক্তি। আইপিএম দেশের কৃষক, নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচুর সচেতনতা তৈরি করেছে। জাতীয় কৃষি নীতি (ন্যাপ) ধারা ৭.১-এর অধীনে নির্ধারণ করেছে যে কীট এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে আইপিএমই হবে মূলনীতি। আইপিএম গ্রহণের ফলে উপকারী পোকামাকড়, মাছ, ব্যাঙ, পশু, পাখি ও গুইসাপ প্রভৃতি সংরক্ষণ করা যায়, কীটনাশকের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় এবং যথেচ্ছ ব্যবহার না হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমে ফলে কৃষক অধিক লাভবান হয়। এ ছাড়া বালাইনাশকের পরবর্তী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রোধ করা সম্ভব হয়।
জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি নিরসনে চলমান কৃষি উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং কৃষিপণ্যের আধুনিক বাজারজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে কৃষককে লাভবান করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি হ্রাস ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ, বাণিজ্যিক কৃষিতে কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধি, কৃষকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষির মূলধারায় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে কৃষিকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
লেখক : মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫। ফোন : ০২৫৫০২৮৩৭০, ই-মেইল : dg@dae.gov.bd