Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বিনাধান-১৪ : নতুন প্রতিশ্রুতিশীল ধানের জাত

সাধারণত অগ্রহায়ণ- পৌষ মাসে বোরো ধানের বীজতলা করা হয় ও পৌষ-মাঘ মাসে মূল জমিতে রোপণ করা হয়। মাঘ মাসের পরে বোরো ধান রোপণ করলে ফুল আসা পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করায় পুংরেণু অকার্যকর হয়ে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। এ কারণে চাষি ভায়েরা যে সব জমিতে বোরো ধান চাষ করেন সে সব জমিতে আমন ধানের পরে  অন্য কোনো ফসল আবাদ না করে  সরাসরি বোরো ধান চাষ করেন। ফলশ্রুতিতে দেশে ডাল, তেল ও গম ফসল উৎপাদনের আওতায় জমির পরিমাণ আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ টন ডাল, ১০-১২ লাখ টন ভোজ্যতেল ও ৩০ লাখ টন গম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যার জন্য প্রতি বছর প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় যা দিয়ে প্রতি বছর একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ আনুমানিক ৮২ লাখ হেক্টর যা নাকি আবার প্রতি বছর শতকরা এক ভাগ হারে কমছে। এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে ডাল, তেল ও  গম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন (১১০-১২০ দিন) আমন ধানের জাত ও  নাবিতে রোপণ উপযোগী (ফাল্গুনের ১ম সপ্তাহ হতে চৈত্রের ২য় সপ্তাহ) বোরো ধানের জাত প্রয়োজন। বর্তমানে আমন মৌসুমে স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন আমন ধানের জাত বিনাধান-৭, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭, ব্রি ধান৩৩, ব্রি ধান৫৬  ও ব্রি ধান৬২ চাষ করে সহজেই ডাল, তেল ও গম আবাদ করা যায়। কিন্তু বোরো ধানের মাত্র একটি জাত আছে যা নাবিতে রোপণ করা যায়, সেটি বিনাধান-১৪। বিনাধান-১৪ ব্রাউশ ধান নামে সমধিক পরিচিত। বর্তমানে এটি জিরাশাইলের বিকল্প হিসাবে উত্তরাঞ্চলে চাষ হচ্ছে। পরাগায়নের সময় উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল বিনাধান-১৪ একটি আগাম পাকা (১০৫-১২৫দিন) জাত যা ফাল্গুন ১ম সপ্তাহ হতে চৈত্রের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করা যায়। ফলে এর ফুল আসে এপ্রিল মাসে যখন বাংলাদেশে বাতাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩-৩৬˚সে. এর মধ্যে উঠানামা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাতাসের গড় তাপমাত্রা ২৫˚সে. এর ওপর হলে ধানের ফলন কমতে শুরু করে এবং ৩৬˚ সে. হলে ধানের কোনো দানা পুষ্ট হতে পারে না। কিন্তু বিনাধান-১৪ এরকম অবস্থায়ও গড়ে ৬.৮৫ টন/হে. ফলন দিতে সক্ষম।


বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৬-৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে প্রতি বছর বোরো ধানের চাষ হয় এবং প্রায় ৬.০ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয় যা হতে ৭.০ লাখ টন সরিষা উৎপাদিত হচ্ছে। যদি বোরো চাষের আওতাধীন উক্ত জমির মধ্যে ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন আমন ধানের জাত (বিনাধান-৭)-উচ্চফলনশীল সরিষা জাত (বিনাসরিষা-৪)- ব্রাউশ ধানের জাত (বিনাধান-১৪) এ শস্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব হয় তবে ৩০ লাখ টন  অতিরিক্ত সরিষা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে সর্বমোট ৩৭ লাখ টন সরিষা উৎপাদন সম্ভব হবে যা থেকে ১৩-১৪ লাখ টন ভোজ্যতেল পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা ১২ লাখ টন (জনপ্রতি প্রতিদিন ২২ গ্রাম ধরে ১৬ কোটি মানুষের জন্য)।


 অন্যদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে  প্রায়  ৯.০ লাখ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ডাল ফসল চাষ হচ্ছে যা হতে ১০.০ লাখ টন ডাল উৎপাদিত হচ্ছে। যদি বোরো চাষের আওতাধীন ৪৬-৪৮ লাখ হেক্টর জমির মধ্যে আরও ১০ লাখ হেক্টর জমিতে স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন আমন ধানের জাত (বিনাধান-৭)-উচ্চফলনশীল ডালের জাত (বিনামসুর-৬/বিনখেসারি-১)- ব্রাউশ ধানের জাত (বিনাধান-১৪) এ শস্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব হয় তবে ২০ লাখ টন  অতিরিক্ত ডাল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে সর্বমোট ৩০ লাখ টন ডাল উৎপাদন সম্ভব হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ডালের মোট চাহিদা ২২ লাখ টন (জনপ্রতি প্রতিদিন ৪৫ গ্রাম ধরে ১৬ কোটি মানুষের জন্য)।


একইভাবে  বর্তমানে বাংলাদেশে  প্রায় ৫.০ লাখ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হচ্ছে যা হতে ১৩.০ লাখ টন গম উৎপাদিত হচ্ছে। যদি উপরোক্ত বোরো চাষের আওতাধীন জমির মধ্যে আরও ৫.০ লাখ হেক্টর জমিতে স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন আমন ধানের জাত (বিনাধান-৭)-উচ্চফলনশীল গমের জাত (বিনাগম-১)- ব্রাউশ ধানের জাত (বিনাধান-১৪) এ শস্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব হয় তবে ২০ লাখ টন  অতিরিক্ত গম পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে মোট ৩৩ লাখ টন  গম উৎপাদন সম্ভব হবে যা আমাদের মোট গমের বর্তমান চাহিদার চেয়ে  মাত্র ৭.০ লাখ টন কম।


বাংলাদেশে বর্তমানে বোরো ধানের জাতগুলোর মধ্যে ব্রি ধান২৮ বোরো চাষের আওতাধীন জমির অর্ধেকেরও বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে। ব্রি ধান২৮ এর গড় ফলন ৬.০ টন/হে.। অপরদিকে বিনাধান-১৪ এর গড় ফলন ৬..৮৫ টন/হে.। যদি ব্রি ধান-২৮ এর পরিবর্তে বিনাধান-১৪ ভিত্তিক শস্যক্রম তিনটি অনুসরণ করা যায় তবে একদিকে বাংলাদেশ ডাল ও ভোজ্যতেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে পাশাপাশিভাবে গমের উৎপাদন ও বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং ৩০ লাখ হেক্টর জমি হতে প্রায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন সম্ভব হবে।


নিম্নে বিনাধান-১৪ এর উদ্ভাবন, শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য ও উৎপাদন কৌশল আলোচনা করা হলো-


উদ্ভাবনের ইতিহাস
বিনাধান-১৪ এর মিউট্যান্ট সারি নং- আরএম(১)-২০০(সি)-১-১০। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকার স্থানীয় ধানের জাত আঁশফলের বীজে কার্বন আয়ন রশ্মি প্রয়োগ করে এর কৌলিক বৈশিষ্ট্যে স্থায়ী পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নাবি বোরো  মৌসুমে অর্থাৎ লম্বা জীবনকালসম্পন্ন সরিষা কাটার পরে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ হতে মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করে সন্তোষজনক ফল পাওয়ায় জাতীয় বীজ বোর্ড এটিকে নাবি বোরো মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য ২০১৪ সালে ছাড় করে।


শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
বিনাধান-১৪ এ আধুনিক উফশী বোরো  জাতের প্রায় সব বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ৮৫-১০০ সেমি. এবং হেলে পড়ে না,  জীবনকাল ১০৫-১২৫ দিন, ধানের রঙ উজ্জ্বল স্বর্ণালী বর্ণের এবং বেশ লম্বা ও চিকন। ১০০০ ধানের ওজন ২৩.১৮ গ্রা. এবং গড় ফলন ৬.৮৫ টন/হে.।


প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বৈশিষ্ট্য
বিনাধান-১৪ প্রচলিত স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন বোরো ধানের জাত  ব্রি ধান২৮ অপেক্ষা উচ্চতায় খাটো এবং প্রায় ৪-৫ দিন আগে পাকে। ধান ও চাল ব্রি ধান২৮ এর চেয়ে লম্বা্ ও চিকন। জীবনকাল কম ও উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল হওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ হতে মার্চ মাসের ৩য় সপ্তাহে রোপণ করলেও মে মাসের ২য় সপ্তাহ হতে জুন মাসের ১ম সপ্তাহে কাটা যায়। বিনাধান-১৪ জাতটির চালে প্রায় শতকরা ১০ ভাগ আমিষ আছে যা ধানের অন্যান্য জাতের তুলনায় প্রায় শতকরা ২ ভাগ বেশি। দেরিতে রোপণসহ স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন হওয়ায় এ জাতটি অন্যান্য বোরো ধানের জাত অপেক্ষা শতকরা ২০-৩০ ভাগ সেচের পানি সাশ্রয়ী। বাংলাদেশে এখন প্রায় প্রতি বছরই শীতকালে অতি নিম্ন তাপমাত্রার কারণে ধানের চারা মারা যায় ফলে কৃষক দিশা হারা হয়ে পড়ে। বিনাধান-১৪ যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে মার্চ মাসের ৩য় সপ্তাহ পর্যন্ত লাগাতে হয় এ কারণে এর চারা জানুয়ারি মাসের ৩য় সপ্তাহে (যখন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে) বীজতলায় ফেলতে হয়। এ কারণে বিনাধান-১৪ এর চারা উৎপাদন নিম্ন তাপমাত্রার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

চাষাবাদ পদ্ধতি
বপন সময় : এ জাতের বীজ অঞ্চল ভেদে  জানুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ হতে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বীজতলায় ফেলা যায়।  বীজতলায় চারা করার পর লাইন করে চারা রোপণ করতে হয়। রোপণের জন্য চারার বয়স ৩০-৪০ দিন হতে হবে। তবে চারার বয়স ৫০-৬০ দিন হলেও ফলনে তেমন তারতম্য হয় না।


রোপণের সময় ও দূরত্ব : ফেব্রেুয়ারি মাসরে ২য় সপ্তাহ হতে মার্চ মাসের ৩য় সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা যাবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৮ ইঞ্চি ও চারা হতে চারার দূরত্ব ৬ ইঞ্চি রাখতে হবে।

 

সারের মাত্রা ও প্রয়োগ : হেক্টরপ্রতি ২৬০-৩২৫ কেজি ইউরিয়া, ১০০-১৪০ কেজি টিএসপি ও মিউরেট অব পটাশ ৬৫-১১০ কেজি, জিপসাম ৫ কেজি জিংক সালফেট এবং ৫.৮৮ কেজি বরিক এসিড প্রয়োগ করতে হবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ইউরিয়া কিছুটা কম দেয়া যায়। পুরো টিএসপি, মিউরেট অব পটাশ, জিপসাম, জিংক সালফেট এবং বরিক এসিড জমি তৈরির শেষ চাষের সময় একবারে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার সমান তিন ভাগে  ভাগ করে প্রথম ভাগ রোপণের ৭-১০ দিন পরে বাকি ইউরিয়া রোপণের ২৫ ও ৩৫ দিনের মধ্যে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। জাতটির জীবনকাল কম বলে তিন বার ওপর প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটু ঘন ঘন সময়ে ইউরিয়া ওপর প্রয়োগ করতে হয়।


আগাছা-রোগ-পোকা দমন : ধানের মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ক্লোরানট্রানলিপি্রোল গ্রুপের কোরাজনে বা ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারবে। কোরাজনে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৩ মিলি বা ভিরতাকো প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম ৫ শতক জমির জন্য প্রয়োগ করতে হবে। ধানের খোলপোড়া রোগের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ডাইফনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়াও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিলে ট্রুপার প্রতি একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যায়।


আন্তঃপরিচর্যা : অন্যান্য উফশী বোরো ধান  জাতের মতোই। চারা রোপণের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানি বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করতে হবে।


ফসল কর্তন : অঞ্চলভেদে এপ্রিলের মাঝামাঝি হতে মে মাসের মাঝামাঝি র্পযন্ত।


আঞ্চলিক উপযোগিতা : দেশের প্রায় সব উঁচু ও মধ্যম উঁচু জমিতে বিশেষ করে মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চলনবিল, রংপুর, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহে ভালো ফলন আশা করা যায়।
 

বিনাধান-১৪ চাষে চাষি ভাইদের যে যে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহের আগে রোপণ করা যাবে না।

 

যেসব জমিতে পানি আটকে থাকে সেসব জমিতে লাগানো যাবে না।
 

ধান হলদে রঙ ধারণ করার সাথে সাথে জমি শুকিয়ে  ফেলতে হবে।
 

ধান অতিরিক্ত পরিপক্ব হওয়ার আগে কাটতে হবে।

সবশেষে যে বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তা হলো যেহেতু বিনাধান-১৪ বোরো মৌসুমে ধান লাগানো শেষ হওয়ারও অনেক পরে লাগাতে হয় সেহেতু বিচ্ছিন্নভাবে দু’এক টুকরা জমিতে না লাগিয়ে পুরো একটি ব্লকের সব জমিতে লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে আমন মৌসুমে স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন আমন ধান কাটার পর উচ্চফলনশীল সরিষা/গম/গোলআলু/ মসুর/খেসারি/শীতকালীন শাকসবজি চাষের পর বিনাধান-১৪ চাষ করতে হবে। এতে করে সেচ নিয়ে যে বিড়ম্বনা সেটি আর থাকবে না এবং রোগ-পোকা-মাকড়ের আক্রমণও অনেক কম হবে।

 

*মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২;০১৭১০৭৬৩০০৩

 ড. মো. অবুল কালাম আজাদ*